দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসনে বিশাল জয়ের পর, বিজেপির জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—কেমন হবে রাজধানীর নতুন মুখ্যমন্ত্রী? দীর্ঘদিনের জল্পনা শেষে, বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ আজ, প্রকাশ্যে আনা হবে দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম। এর পরের দিন, ২০ ফেব্রুয়ারি শপথগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান বিতর্ক: পাকিস্তানের স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা কেন নেই?
প্রসঙ্গত, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় এবারের নির্বাচনে ৪৮টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, ২২টি আসন পেয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ সরকার। এবারের নির্বাচনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরিকে হারানোর পর, বিজেপির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যারা এই তালিকায় রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নয়াদিল্লি আসনের বিজয়ী বিধায়ক প্রবেশ ভর্মা, সতীশ উপাধ্যায়, এবং বীরেন্দ্র সচদেব। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী বুধবার বিধায়ক দলের বৈঠকের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে কার নাম ঘোষণা করা হবে, এবং সরকারের গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। বিজেপির শীর্ষ নেতারা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন।
এছাড়াও, দিল্লি সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপির দলীয় নেতারা ইতোমধ্যে আলোচনায় বসেছেন এবং ১৫টি নামের একটি তালিকা তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী, পারিষদীয় দলনেতা ও বিধানসভার স্পিকার পদের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম রয়েছে। তবে, বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যের মতো দিল্লিতে কোনও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ রাখা হবে না বলে জানা যাচ্ছে। রাজৌরি গার্ডেনের বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসা জানিয়েছেন, আগামী ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে সরকার গঠনের সমস্ত প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে, দিল্লি সরকারের নতুন মুখের নাম সামনে আসতে চলেছে, এবং এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই রাজধানী ও রাজনীতি বিশ্বে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।