দিল্লি এবং উত্তর ভারতের একাধিক এলাকা সোমবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে। ৪.০ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তীব্র কম্পন সৃষ্টি করেছে, যার উৎসস্থল ছিল দিল্লির কাছেই, মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) মতে, ভূমিকম্পটি আজ ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা মাঝারি হলেও কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সড়কে নেমে আসেন। কম্পনটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হলেও মানুষের মধ্যে ভীতি ও শঙ্কা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ নিয়ে কি করবেন ‘ আমি এই বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর ছাড়লাম' সাফ বললেন ট্রাম্প!
প্রসঙ্গত, দিল্লি শহরসহ সংলগ্ন অঞ্চলে এই কম্পন অনুভূত হলেও, এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দিল্লি সিসমিক জোন-৪ এ অবস্থিত, যার কারণে এখানে মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকেই। এর আগে একাধিকবার দিল্লি ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারিতে চিনের শিনজিয়াংয়ে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল, তেমনি ১১ জানুয়ারি আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পরও দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। মধ্যম মাত্রার ভূমিকম্প হলেও, দিল্লির মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে, বিশেষ করে যখন কম্পন এত তীব্র ছিল। তবে, সঠিক সময় ও অবস্থান জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসন সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছে। বর্তমানে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর না এলেও, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের ভূমিকম্পের জন্য শহর প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন।
উলেখ্য, এমন ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বারবার মনে করিয়ে দেন যে, দিল্লি ও আশপাশের অঞ্চলগুলো সিসমিক জোন-৪ এর অধীনে রয়েছে, এবং এখানে ভূমিকম্পের শক্তি বাড়লে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাই, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের ভূমিকম্প প্রস্তুতি আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।