মুম্বইয়ের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি নকল করে সাইবার প্রতারকরা প্রায় ৪.৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনা নতুন কৌশলকে সামনে এনে সাইবার অপরাধীদের উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রমাণ করছে। তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী প্রথমে নতুন ফোন নম্বর দেখে সন্দেহ করেছিলেন, কিন্তু ডিপির ছবি অপরিবর্তিত থাকায় তিনি প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এরপরই, প্রতারকরা ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে একে একে ১-২ কোটি টাকা করে সংগ্রহ করতে থাকে, এবং এই পুরো প্রক্রিয়া চলেছিল একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে।
প্রয়াগরাজে ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনা, ১০ পুণ্যার্থী নিহত
প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরের অজান্তে তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে, প্রতারকরা এমন এক কৌশল অবলম্বন করে যে, কোনও প্রকার সন্দেহ না করে টাকা স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়। ঘটনা প্রকাশের পরই মুম্বইয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্রাইম ডিভিশন তদন্তে নেমেছে। তবে, যেহেতু টাকা একবার স্থানান্তরিত হয়ে গেছে এবং ধাপে ধাপে নেয়া হয়েছে, তাই এই লেনদেনের উৎস অনুসন্ধান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সাইবার অপরাধীরা প্রতিদিনই নতুন কৌশলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করছে। এর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করছে যে, অপরাধ সংঘটিত হলেও সহজে তার হদিস পাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের সাইবার অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটছে এবং প্রতারকরা দিন দিন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে।
উলেখ্য, এই ঘটনা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে নিয়ে আসছে, তা হল সাইবার নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষিত ব্যবহার। ফোনের নম্বর বা ছবি ব্যবহার করে কিভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়া হতে পারে, তা সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা হয়ে উঠেছে। এছাড়া, পুলিশ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে যে, এই ধরনের অপরাধের জন্য নিয়মিতভাবে জনগণকে সচেতন করার কাজ আরও বাড়ানো প্রয়োজন, কারণ প্রতারকরা বিভিন্ন কৌশলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে সেটা ব্যবহার করতে পারে।