উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ মেলা, যা গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে এক আধ্যাত্মিক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করছে, তেমনি বাংলার হুগলিতেও রয়েছে ত্রিবেণী সঙ্গম, যা ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে সমান গুরুত্ব বহন করে। ত্রিবেণীতে ভাগীরথী (যা গঙ্গা নামে পরিচিত), সরস্বতী এবং কুন্তি নদীর মিলনস্থল প্রাচীন কালে যেমন পুণ্যতীর্থ ছিল, তেমনি মাঘ মাসের সংক্রান্তিতে সেখানে ঐতিহ্যবাহী কুম্ভমেলা আয়োজন করা হয়। ৭০০ বছর আগে, সাধু-সন্তরা গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে এখানে বিশ্রাম নিতেন এবং মাঘী পূর্ণিমার দিন ত্রিবেণী হয়ে উঠত ভক্ত ও সন্ন্যাসীদের মিলনক্ষেত্র।
প্রসঙ্গত, এ বছর মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে একটি অনু কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রচুর পুণ্যার্থী পুণ্য স্নানে অংশ নেন। এই বিশেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি পুণ্যস্নানে অংশ নিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে আসেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পোশাক নিয়ে চমক সৃষ্টি করেন। পূর্বে প্রয়াগরাজের কুম্ভ মেলায় গেরুয়া বস্ত্র পরে স্নান করেছিলেন তিনি, তবে এদিন ত্রিবেণীতে উপস্থিত হয়ে নীল এবং সবুজ শাড়ি পরে সঙ্গমের জল মাথায় ছিটান। তার এই পোশাক ছিল বিশেষভাবে মাঘী পূর্ণিমার দিনটির জন্য নির্বাচিত।
উলেখ্য, তিনি বলেন, "আজ বুধবার বলে এই রঙের শাড়ি পরেছি। আমি কালার থেরাপি করি, এবং এই রঙগুলো আমার জন্য শুভ।"সংসদ সদস্য রচনা আরও জানান, প্রশাসন খুব ভালোভাবে আয়োজন করেছে এবং তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করেন যে, সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কুম্ভ মেলা হচ্ছে, যা আধ্যাত্মিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন, ত্রিবেণী সঙ্গমে বহু ভক্ত এবং সাধু সন্ন্যাসী উপস্থিত ছিলেন, যারা এই ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিলনস্থলে পুণ্য অর্জনের জন্য স্নান করেন। ত্রিবেণী সঙ্গমে এই বিশেষ দিনটি ছিল এক ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মুহূর্ত, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সঙ্গমের ইতিহাস এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে।