টলিউডে গত কিছুদিন ধরে চলা অচলাবস্থার কারণে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছিলেন বেশ কিছু পরিচালক। তাদের অভিযোগ ছিল যে, পরপর তিনজন পরিচালককে কাজ করা থেকে আটকানো হয়েছে। তারা দাবি করেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষ থেকে ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে, অবশেষে তারা বৃহস্পতিবার একটি কর্মবিরতির ডাক দেন। তবে শুক্রবার কিছু প্রজেক্টের শ্যুটিং চললেও, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ওইদিনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে বৈঠকের পর, সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়। বৈঠকে শ্রীজিৎ রায় এবং অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন, এবং আলোচনার ফলস্বরূপ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২৭ বছর পর দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি সরকার
প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে, মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, ২০ ফেব্রুয়ারির পর বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। পরিচালক গিল্ড এবং ফেডারেশনকে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জমা দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের আশ্বাসে, পরিচালকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে বলেন, "এটা কোনো অঘোষিত ছুটি নয়, বরং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কিছু স্থানে ইচ্ছাকৃতভাবে শ্যুটিং বন্ধ করা হয়েছে, যেখানে আর্টিস্টরা প্রস্তুত হয়ে বসে ছিলেন। এভাবে শ্যুটিং বন্ধ করে কী আলোচনা হবে তা বুঝতে পারছি না।" এদিন, ফেসবুকে শ্রীজিৎ রায় একটি পোস্ট করে তাঁর টেকনিশিয়ান বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চান। তিনি লেখেন, "আমি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে কিছু মন্তব্য করেছিলাম, যা আমার টেকনিশিয়ান বন্ধুদের আঘাত দিয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি, কেউ বা কোনো ব্যক্তিকে দুঃখ দেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি মনে করি আমরা একটাই পরিবার।" এদিকে, কয়েকটি শ্যুটিংয়ে সহকারী পরিচালকরা দায়িত্বে ছিলেন এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং তথাগত মুখোপাধ্যায়দের মতো পরিচালকরা শ্যুটিং পরিচালনা করেন।
উলেখ্য, এভাবে, টলিউডে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তবে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা এবং শ্রীজিৎ রায়ের ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে একতাবদ্ধতা এবং সমস্যা সমাধানের দিকে একটি পদক্ষেপ নেয়া হলো।