আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (Chola Bengal Global Business Summit), যা রাজ্যের অর্থনৈতিক ও শিল্প ক্ষেত্রের জন্য এক মাইলফলক হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যে এই সম্মেলনের দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং বলেছেন, এবার সম্মেলনটি হবে আগের তুলনায় অনেক বড় এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ।
ক্লাসের মধ্যেই ছাত্রের হাতে সিঁদুরদান বিতর্কে ইস্তফা অধ্যাপিকার
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনে মোট ২২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। বিশেষজ্ঞরা, শিল্পপতিরা এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দাল, এবং আন্তর্জাতিক বণিক মহলের সদস্যরা। বিদেশি অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসডররা উপস্থিত থাকবেন, এছাড়া ভুটানের প্রধানমন্ত্রীও সম্ভাব্যভাবে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এবারের সম্মেলনে রাজ্য সরকারের নতুন পরিকল্পনা এবং উদ্যোগগুলোর পরিচিতি ঘটবে, যার মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এআই (AI) হাব-এর সূচনা। রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে এই হাব একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্র যেমন কৃষিপণ্য, কুটির শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি (IT), এবং ক্ষুদ্র শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে, যা রাজ্যের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে আজ আয়োজিত চা চক্রটি কার্যত সম্মেলনের সূচনা হিসেবে কাজ করছে। রাজ্যের শিল্পপতিরা এতে অংশগ্রহণ করবেন এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করবেন। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, রাজ্যে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া, সম্মেলনের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। এবারের সম্মেলনটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, এই সম্মেলনের পাশাপাশি, সিআইআই (CII) এবং ফিকি (FICCI)-এর জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকও নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলবে এবং রাজ্যের উন্নয়ন আরও দ্রুত হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সম্মেলনটি রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পের বৃদ্ধিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।