ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন, যখন থেকেই মসনদে বসেছেন, আমেরিকায় 'অনুপ্রবেশকারী হঠাও' অভিযান শুরু করেছে। একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এ বার ভারতের অভিবাসীরা সেই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু হতে চলেছেন। এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন সেনাবাহিনী ভারতে অভিবাসীদের ফেরানোর জন্য সি-১৭ বিমান পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে পৌঁছাবে।
অভিষেক-ঐশ্বর্য কন্যা ১৩ বছরের কিশোরী আরাধ্যা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন
উলেখ্য, তাদের মধ্যে প্রায় ১৮,০০০ ভারতীয় নাগরিককে 'অনুপ্রবেশকারী' হিসেবে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই ১৮,০০০ ভারতীয়ের মধ্যে প্রথম দফায় ২০৫ জনকে ফেরানো হবে। ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকেও এই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এমন খবর পাওয়া গেছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাগরিকত্বের প্রমাণ সংগ্রহের জন্য সরকারের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। জানা গেছে, প্রথম ২০৫ জনের মধ্যে তাদের ভারতের নাগরিকত্বের যথাযথ প্রমাণ রয়েছে।এমনকি, ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরানোর জন্য বিশেষ বিমান সড়ক শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এল পাসো, টেক্সাস, সান দিয়েগো, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এসব বিমান ছেড়ে গেছে। এই অভিবাসী বোঝাই বিমানের মধ্যে সবচেয়ে দূরত্বপূর্ণ যাত্রাটি ভারত পর্যন্ত, তাই সময় লাগবে ২৪ ঘণ্টা। এক মার্কিন সামরিক আধিকারিক জানান, অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ভারত সবচেয়ে দূরবর্তী গন্তব্য হওয়ায় এই বিমানে সময় লাগবে বেশি।
ট্রাম্পের নীতির ফলে, লাতিন আমেরিকার দেশগুলো যেমন কলম্বিয়াও এর আগে অভিবাসীদের গ্রহণ করতে চায়নি। ট্রাম্পের হুমকির মুখে তাদের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছিল। এছাড়া, ইতিমধ্যে আমেরিকা থেকে লাতিন দেশগুলিতে পাঠানো অভিবাসীদের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যেখানে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের কথাও সামনে এসেছে।এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গত সোমবার ফোনে আলোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। ফোনালাপে তিনি বলেছিলেন, “অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে মোদির সঙ্গে এবং ভারত সঠিক পদক্ষেপ নেবে অভিবাসীদের ফেরানোর বিষয়ে।” যদিও এর পরেও, এই প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিন্দা ও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।এই ঘটনায় ভারতীয় অভিবাসীদের ওপর ট্রাম্পের প্রশাসনের বাড়ানো চাপ অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, এ ধরনের পদক্ষেপ ভারতের অভিবাসী সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন দেখার বিষয় হবে, কিভাবে দুই দেশের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই সংকট সমাধান হয় এবং ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।