২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এসেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে এআইয়ের প্রয়োগ বৃদ্ধি করতে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিশেষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্র স্থাপিত হবে। এটি সরকারির তৃতীয় দফার প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট, যেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বড় ধরনের বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আরও জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে কৃষি, স্বাস্থ্য ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শহরের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও এআইয়ের ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে এই ৫০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হলো। বিশিষ্ট মহল মনে করছে, এটি দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের পথে একটি বিশাল পদক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে শিক্ষার মান এবং প্রসার আরও কার্যকর হবে। বিশেষ করে এই উদ্যোগটি ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজ এবং সুবিধাজনক পাঠদান পদ্ধতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
বিগ বস সঞ্চালনার ১৫ বছরের লম্বা সফর শেষ করছেন সলমন ?
অর্থমন্ত্রী বাজেটে ভারতের আইআইটি (আইনজীবী, প্রযুক্তি ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান)গুলোর ক্ষমতাও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের পর প্রতিষ্ঠিত নতুন ৫টি আইআইটি’র জন্য অতিরিক্ত ৬ হাজার আসন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এইসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আইআইটি পড়ুয়া সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের গবেষণা ও উন্নয়নে সাফল্যের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। এছাড়া, সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোর জন্যও অতিরিক্ত ১০ হাজার আসনের পরিকল্পনা করেছে। এর মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭৫ হাজার নতুন আসন তৈরি করা হবে। এতে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়ন, বিশেষত চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সংকট দূর হবে।
উলেখ্য, এই বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, যার মধ্যে একটি হল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আরও বিনিয়োগ। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আরও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণা চালু হবে। কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে করা এই সিদ্ধান্তটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের পথে একটি বড় পদক্ষেপ। কৃষি, স্বাস্থ্য ও শহর উন্নয়নের পর শিক্ষাক্ষেত্রে এআই প্রয়োগের ঘোষণা সরকারের শিক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামীতে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার মানের উন্নয়ন এবং বিশ্বমানের গবেষণা সম্ভব হবে, যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সাহায্য করবে।