কিছুদিন আগে মহাকুম্ভ মেলার মধ্যে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। এরপর তিনি মহামণ্ডলেশ্বর পদে আসীন হন, যা শুরু করেছে তীব্র বিতর্ক। বিষয়টি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে কিন্নর আখড়ার প্রধান লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠি বড় পদক্ষেপ নেন এবং ৩১ জানুয়ারি জানানো হয় যে মমতা কুলকার্নি মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে সরানো হচ্ছে।
শনিবার তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
জুনা আখড়া তাদের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মমতা কুলকার্নি এবং তাঁর গুরু লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠিকে কিন্নর আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আখড়ার মধ্যে মমতার মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে যে বিতর্ক এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গত সপ্তাহেই মমতা কুলকার্নি মহামণ্ডলেশ্বর পদে নিয়োগ পান। তবে এ পদে নিয়োগের পদ্ধতি এবং মমতার অতীত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। অনেকেই তার ধর্মীয় প্রতিস্থান এবং জনমানসে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো, আখড়ার তরফ থেকে জানানো হয় যে, মমতা কুলকার্নিকে তাদের অজ্ঞাতে মহামণ্ডলেশ্বর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিছু সদস্য অভিযোগ করেন যে, মমতার অতীতকে বিবেচনায় না নিয়ে এই পদে তাকে বসানো হয়েছিল, যা আখড়ার ভেতরে এবং বাইরের জনসাধারণের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়।
গত শুক্রবার, মমতা কুলকার্নি মহাকুম্ভে এসে পিণ্ডদান করেন এবং সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। তিনি জানান, তাঁর গুরু এবং মহাদেব-মহাকালী আদেশেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে, এই ঘটনাটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে একটি বড় বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা কিন্নর আখড়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। এদিকে, জানা যাচ্ছে যে, লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠি, যিনি কিন্নর আখড়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ এবং ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট, তাকে খুব শীঘ্রই তার সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে কিন্নর আখড়ায় আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এই বিতর্কিত ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, জনসাধারণ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মমতা কুলকার্নির নিয়োগ নিয়ে একধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়। এটা স্পষ্ট যে, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে এই ঘটনায় গভীর অসন্তোষ বিরাজ করছে এবং বিষয়টি আরও গভীরে যেতে পারে। মমতা কুলকার্নির সন্ন্যাস গ্রহণ এবং মহামণ্ডলেশ্বর পদে আসীন হওয়া, একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বিরাট প্রশ্ন চিহ্ন সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় বিতর্ক সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।