নতুন বাজেট অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিলে নজর থাকবে বিশেষভাবে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে ৩১ জানুয়ারী, যার সাথে একাধিক নতুন বিলও পেশ হতে পারে। মূলত, এই বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ২০২৪-২৫ অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে এবং এর পর একে একে পেশ হবে ১৬টি নতুন বিল।
বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের পথে সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকা
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিলগুলির মধ্যে রয়েছে ওয়াকফ বিল, যেটি এর আগে ২০২৪ সালের আগস্টে সংসদে পেশ হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ওয়াকফ আইনের ৪৪টি পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে আসা এই বিলটি এখনও নানা মহলে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। বিরোধীরা বিলটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে, তা পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। সম্প্রতি কমিটি যে প্রতিবেদন পেশ করেছে, তাতে শাসক দলের ১৪টি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু বিরোধী দলের ৪৪টি প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। ফলে, এই প্রতিবেদন বাজেট অধিবেশনে পেশ হলে তাতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, অর্থ বিলের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের প্রস্তাব থাকছে বলে জানানো হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি ও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারে। ব্যাঙ্কিং আইনেও কিছু নতুন পরিবর্তন আনা হতে পারে, যা ব্যাঙ্কিং সেক্টরের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও, আরও ১৩টি বিল পেশ করার কথা রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, তৈলক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ এবং উপকূলীয় ও মার্চেন্ট শিপিং বিল। এছাড়া, গ্রামোন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট আনন্দ ইনস্টিটিউট অফ রুরাল ম্যানেজমেন্টের নাম পরিবর্তন করে ত্রিভুবন সমবায় বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাবও রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে জাতীয় গুরুত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি দেশের শিক্ষা এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।এভাবে, কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২৪ সালের বাজেট অধিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন বিলের মধ্যে কিছু বিতর্কিত প্রস্তাব থাকায়, পুরো অধিবেশনটি বেশ উত্তপ্ত হতে পারে।