মৌনি অমাবস্যায় অমৃত স্নানের জন্য হুড়োহুড়ি, মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk :

পূণ্যতীর্থ মহাকুম্ভ মেলার এক অংশ হিসেবে প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষের সমাগম ঘটে, তার মধ্যে একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক উত্তরণ ও আশীর্বাদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে, তেমনি অন্যদিকে তীব্র ভিড়ের কারণে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে। বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থল ত্রিবেণীতে এমনই এক দুর্ঘটনা ঘটে। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে বিশাল সংখ্যক পূণ্যার্থী “অমৃত স্নান” করতে এসে হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্ট হন। এ ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং আহত হয়েছেন অনেকেই। 

মঙ্গলবার থেকেই দূরদূরান্ত থেকে লাখো পূণ্যার্থী প্রয়াগরাজে পৌঁছেছিলেন। বুধবার সকালবেলা ভিড় এতটাই বেড়ে যায় যে, তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। হঠাৎ করে ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে, বেশ কিছু মানুষ আটকে পড়ে এবং পদপিষ্ট হয়ে আহত হন। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে, তবে অনেককেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পূণ্যার্থীদের ভিড়ের পরিমাণ বিবেচনায়, প্রায় ১০ কোটি মানুষের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ছিল, এমনটাই জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল, তারপরেও ভিড়ের অতিরিক্ত চাপ এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ দিনে মহাকুম্ভ মেলাতে ১৫ কোটিরও বেশি পূণ্যার্থী স্নান করেছেন। মঙ্গলবার দিনেই ৪.৮ কোটির বেশি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছিলেন।

বহুগামিতা, বাল্যবিবাহ, তিন তালাক নিষিদ্ধ চালু অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

ঘটনার পরই উত্তরপ্রদেশ সরকার, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে লিপ্ত হয়েছে। র‍্যাফ এবং এনএসজি-র দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পদপিষ্টের এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করার প্রয়োজনীয়তা যেমন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, তেমনি শাহি স্নানও আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে একটি সচেতন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।


মহাকুম্ভ মেলার মতো বৃহৎ আধ্যাত্মিক জমায়েতে ভিড়ের মধ্যে কখনো কখনো এমন বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, যার জন্য আরও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উন্নত পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি। এই দুর্ঘটনায় যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হচ্ছে, এবং প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News