আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Bidisha Karmakar :

২০২৫ সালের ২৮শে জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতার সবচেয়ে বড় সাহিত্য উৎসব,৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। প্রতি বছরই বাঙালির জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠা এই বইমেলা এবারও এক নতুন উদ্যমে আয়োজিত হচ্ছে, যেখানে হাজার হাজার বইপ্রেমী এবং প্রকাশক একত্রিত হবেন। বইমেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বছর একটি বিশেষত্ব থাকবে, কারণ এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে জার্মানির সাহিত্য ও সংস্কৃতির থিমে। 

বইমেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ২৮শে জানুয়ারি, বিকেল ৪টায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের বিভিন্ন বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি, জার্মান রাষ্ট্রদূতও। এবার বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে ১,০০০-রও বেশি প্রকাশক, যা মেলার ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি করবে। এবারের বইমেলায় অংশগ্রহণ করবে বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা সংস্থাগুলি, যার মধ্যে অন্যতম জার্মানি, ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, পেরু, আর্জেন্টিনা, গুয়াতেমালা এবং ল্যাটিন আমেরিকার কিছু দেশ। ভারতের প্রায় সব রাজ্য থেকে প্রকাশনা সংস্থাগুলি অংশগ্রহণ করবে, যা বইমেলাকে আরো বৈশ্বিক ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অভ্যন্তরে নিয়ে আসবে। বইমেলায় এই বছর বিশেষ কিছু গেট তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক, জীবনানন্দ দাশ এবং নজরুল ইসলামের নামে স্টল গেট রয়েছে। এছাড়া, জার্মান স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে দুটো গেট, যা মেলার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলবে।

ভারতে সমস্ত ধরণের গাড়ির জন্য থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে

এই বছর কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের কোনো স্টল থাকছে না। বাংলাদেশের প্রকাশকদের পক্ষ থেকে যথাযথ আবেদন না করা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্টল কলকাতা বইমেলায় ছিল। এর ফলে অনেক পাঠক মনোকষ্টে আছেন, যারা বাংলাদেশের বইসম্ভার দেখার জন্য অপেক্ষা করতেন। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্টল না থাকায় তারাও এক ধরনের দুঃখ অনুভব করছেন, তবে জিও পলিটিকাল পরিস্থিতির কারণে এটি হয়েছে। তারা আশা করছেন ভবিষ্যতে আবার বাংলাদেশি প্রকাশকরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করবেন। এবারের বইমেলায় নতুনত্বের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। মেলায় থাকা স্টলগুলো খুঁজে পেতে সাহায্য করবে একটি অ্যাপ, যা স্টল খোঁজার জন্য কিউআর কোডের ব্যবস্থা রেখেছে। পাশাপাশি, বই কেনার জন্য লটারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার টাকা মূল্যের বুক কুপন পাওয়া যাবে। এছাড়া, এবারের মেলায় কিছু রাজনৈতিক সংগঠনের নামে স্টল দেওয়ার অনুমতি নেই। যেমন, বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবং এপিডিআর তাদের নামের স্টল পাবে না, তবে অন্য নামে স্টল পাওয়া যাবে।


৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা এবছরও অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। ১,০০০ স্টল, বৈশ্বিক উপস্থিতি, নতুন প্রযুক্তি, এবং প্রাচীন সাহিত্যিকদের প্রতি শ্রদ্ধা – সব মিলিয়ে এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক এবং সাহিত্যিক ঐতিহ্যের এক বড় উদযাপন। যেসব পাঠক এবারে মেলায় উপস্থিত হবেন, তারা বইয়ের পাশাপাশি বৈশ্বিক সংস্কৃতি এবং বিশ্বের নানা ভাষার সাহিত্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News