বাংলাদেশে এবার চরম হেনস্থার মুখে এক মহিলা হিন্দু সাংবাদিক। স্থানীয় একটি পোর্টালের সাংবাদিক মুন্নি সাহাকে হেনস্থা। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে গত শনিবার রাতে অফিস থেকে বেরনোর পরেই ঢাকার কারওয়ান বাজারে মহিলা হিন্দু সাংবাদিককে ‘ঘিরে ধরেছিল’ একদল লোক। সেই খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। যে মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। এমনকী একটি মামলায় তো বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি প মুন্নিরও নাম আছে।
রাষ্ট্রসংঘ সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের নিন্দা ও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে
প্রসঙ্গত, বিশিষ্ট সাংবাদিক মুন্নি সাহা সহ আরও ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘হত্যা মামলা’ দায়ের করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার । 'ছাত্র বিক্ষোভে' অংশ নেওয়া ১৭ বছরের এক ছাত্র নাঈম হাওলাদার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নাঈম হাওলাদারের মৃত্যুতে মুন্নি সাহাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। এই ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট অক্টোবরে তার অ্যাকাউন্টের বিবরণ শেয়ার করার জন্য ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দেয়।
উলেখ্য, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসকন কর্তৃপক্ষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইসকনের তিন সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার এবং অন্যান্য নিপীড়নের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। রবিবার ইসকন কর্তৃক বিশ্বজুড়ে কীর্তন, প্রার্থনা এবং ধর্মসভার আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দাবি তোলা হয়েছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক মহল এ বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে।