Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

রাষ্ট্রসংঘ সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের নিন্দা ও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রাষ্ট্রসংঘের সংখ্যালঘুবিষয়ক ফোরামের ১৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবজনক উদাহরণ তৈরি করেছে। এদিকে সেই সম্মেলনেই একাধিক এনজিও প্রতিনিধি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে দাবি করেন। সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির বিষয়টিও উত্থাপিত করা হয়েছিল সেখানে।

চিন্ময় কাণ্ডে ফের দুই সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশী পুলিশ

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হামলা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদে ব্রিটিশ সংসদে সরব হন কনভারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। হাউজ অফ কমনসে এই নিয়ে তিনি সরকার পক্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। তিনি বলেন, 'এলস্ট্রিতে ভক্তিবেদান্ত ম্যানর পরিচালনা করে ইসকন। ব্রিটেনে সেটা সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দির। বাংলাদেশে এই সংগঠনের ধর্মীয় নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের খুন করা হচ্ছে। তাঁদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার জন্য ওদের হাইকোর্টে যে চেষ্টা করা হয়েছিল। এটা হিন্দুদের উপর সরাসরি হামলা। এটা এখন ভারতের জন্যে একটা হুমকি। এখানে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। কারণ আমরাই বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের সরকারে যে বদলই এসে থাকুক। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের হামলা গ্রহণযোগ্য নয়।' এর আগে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পও। 

 

হিন্দুদের উপরে হামলা নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নীরব দর্শকে’র ভূমিকারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস। ভারত সরকারের কাছেও বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার এবং এর সমর্থনে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আরএসএস বলেছে, এই সঙ্কটময় সময়ে ভারত ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সমর্থন জানানো। এবং বিশ্ব শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের জন্য নিজ নিজ সরকারের কাছে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টার দাবি করা।  বাংলাদেশের হিন্দুদের আত্মরক্ষার জন্য গণতান্ত্রিক পথেই তোলা আওয়াজকে দমন করতে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও নিপীড়ন হচ্ছে বলে দাবি আরএসএসের। এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে এপার বাংলাতেও। কলকাতা বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে পরপর বেশ কয়েকদিন। এই আবহে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি বিবৃতি প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, বিক্ষোভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে ঢাকা। 'মনে হচ্ছে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ডেপুটি হাইকমিশনের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকাকে আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। বাংলাদেশে সরকার সমস্ত রকমের হিংসার বিরোধী। কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের ও ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বাকি কূটনৈতিক অবস্থানগুলিতে যাতে কূটনীতিবিদরা সুরক্ষিত থাকেন, তা নিশ্চিত করার জন্যে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে।'

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

বিদ্রোহ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক
Related News