বলিউড জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন বেশ কয়েকদিন ধরে বিবাহবিচ্ছেদের খবর নিয়ে শিরোনামে রয়েছেন। এ দিকে, ঐশ্বর্যর একটি ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা দেখার পরে আবারও বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। কেন হঠাৎ নামের পাশ থেকে বচ্চন পদবী সরালেন ঐশ্বর্য? দুবাইয়ে আয়োজিত গ্লোবাল উইমেন ফোরামে অংশ নিতে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ঐশ্বর্য রাইয়ের নাম থেকে ‘বচ্চন’ পদবী সরে গিয়েছে। সেখানে তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মঞ্চে উঠার সময় তার নামের সঙ্গে শুধু ‘ঐশ্বর্যা রাই ইন্টারন্যাশনাল স্টার’ লেখা ছিল। যা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর বলা চলে। সকলের মনেই প্রশ্ন কেন এমনটা হলো? এটা কি নিছকই কাকতালীয়, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ?
আরাধ্য়াকে নিয়ে একাই জন্মদিন পালন করলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন
উলেখ্য, তবে এটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। ঐশ্বর্যা রাই শুধুমাত্র ওই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন যা নারীদের ক্ষমতায়ন ও উন্নতি নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল। এই ধরনের অনুষ্ঠানে তাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টার’ হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছিল, যেখানে বিশেষভাবে শুধু তার প্রথম নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কোনো ধরনের বিবাহবিচ্ছেদের সংকেত ছিল না। এছাড়া, এই ভিডিও ছাড়া অন্য কোথাও ঐশ্বর্যা রাই তার নাম থেকে বচ্চন উপাধি বাদ দেননি। উদাহরণস্বরূপ, তিনি এখনও তার ইনস্টাগ্রামে ‘ARB’ নাম ব্যবহার করেন, যা তার পুরো নাম ‘ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন’ এর সংক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও কিছু দাবি করা হয়েছে যে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, অভিষেকের জীবনে অন্য একজন অভিনেত্রীর আগমনের পর দুজনের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরেছে। এমনিতে অফিসিয়ালি তিনি বিয়ের পর থেকেই বচ্চন উপাধি ব্যবহার করেন। তাই হঠাৎ সেটাকে না দেখতে পাওয়ায় হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলিপাড়ায় বছরভর যে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল তা আরও জোড়ালো হতে শুরু করেছে। উপাধি দেখা না যাওয়ায় ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে এই জল্পনা। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এখন একটাই 'হট টপিক'। জুনিয়র বচ্চন আর রাই সুন্দরীর সম্পর্ক নাকি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বৈবাহিক জীবনে ঝড় উঠেছে বলেই গুঞ্জসত্যি