প্যান কার্ড সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, কীভাবে পুরনো প্যান কার্ডধারীরা তাঁদের প্যান কার্ড আপগ্রেড করতে পারবেন। ২৫ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) আয়কর বিভাগের প্যান ২.০ প্রকল্প (PAN 2.0) অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের জন্য সরকার প্রায় ১৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করবে।
ইসরায়েল-লেবাননের যুদ্ধের আবসান
দীর্ঘদিন ধরে প্যান কার্ডের আপগ্রেডেশনের দাবি উঠে আসছিল। ভারত সরকার এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্যান ২.০ প্রকল্পের (PAN 2.0) আওতায়, বিদ্যমান প্যান কার্ডধারীরা, যা দেশে প্রায় ৭৮ কোটি, তাদের প্যান কার্ড আপগ্রেড করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দেশের মানুষকে প্যান PAN 2.0 প্রকল্পের জন্য একটি টাকাও খরচ করতে হবে না। এর যাবতীয় খরচ বহন করবে কেন্দ্রই। প্যান নম্বর বদল করারও প্রয়োজন হবে না।। বর্তমানে, এই প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য আয়কর বিভাগ আবেদন প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি পরে জারি করবে।
উলেখ্য, সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ করা প্রয়োজন। ভারত সরকার প্রযুক্তিগতভাবে করদাতাদের নিবন্ধনকে সহজতর করার জন্য প্যান ২.০ প্রকল্প (PAN 2.0) তৈরি করেছে। যা করদাতাদের উন্নত মানের সঙ্গে সহজ পরিষেবা প্রদান করবে। এই প্রকল্পে করদাতাদের সম্পূর্ণ বিবরণ এক জায়গায় পাওয়া যাবে। এটা অনেক সস্তা হবে। শুধু তাই নয়, নতুন প্রজেক্টে ডেটা সিকিউরিটি আগের চেয়ে ভালো হবে। প্যান ২.০ প্রকল্পটি (PAN 2.0) বিদ্যমান প্যান-১ এর তুলনায় উন্নত এবং দক্ষ হবে।
অর্থাৎ প্যান ২.০ -র মাধ্যমে একটি নম্বর দিয়ে সমস্ত প্রয়োজন মেটানোর সুবিধা এবং বিনামূল্যে এই আপগ্রেড প্রক্রিয়া, প্যান কার্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে চলেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ভাবে আপগ্রেড প্রক্রিয়ার সময়সূচি ঘোষণার অপেক্ষা।
প্যান ২.০-এর বৈশিষ্ট্য কী?
১. কিউআর কোড সংযোজন: পুরনো এবং নতুন সব প্যান কার্ডেই যুক্ত হবে কিউআর কোড, যা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজ পরিচয় যাচাই করতে সাহায্য করবে।
২. ডেটা ভল্ট সিস্টেম: ব্যাংক বা বিমা সংস্থার মতো যেসব প্রতিষ্ঠান প্যান ডেটা ব্যবহার করে, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এই ডেটা সুরক্ষিত রাখতে হবে।
৩. একীভূত পোর্টাল: পুরনো ১৫-২০ বছরের সফটওয়্যারের পরিবর্তে একটি নতুন অনলাইন পোর্টাল চালু হবে। পুরো প্রক্রিয়া হবে পেপারলেস এবং অনলাইন।
৪. গ্রাহক সেবা উন্নয়ন: অভিযোগ সমাধানের জন্য থাকবে উন্নত ব্যবস্থা।
৫. প্যানকে কেন্দ্রীয় পরিচয়পত্র করা: সমস্ত সরকারি ডিজিটাল ব্যবস্থায় প্যান হবে একমাত্র ব্যবসায়িক পরিচয়পত্র।
৬. প্যান ২.০ প্রকল্প চালু হলে এটি হবে আরও সুরক্ষিত এবং আধুনিক পরিচয়পত্র।