এবারের আইপিএলের নিলামের সবচেয়ে বড় চমক। বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্রিকেটার যেখানে দল পায়নি সেখানে মাত্র ১৩ বছরের সূর্যবংশীর আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়ে ফেলেছিল। সূর্যবংশী বিহারে জন্ম। মেগা নিলামে বৈভবকে নিয়ে লড়াই চলছিল দিল্লি ও রাজস্থানের। শেষমেশ বাজিমাত করল রয়্যালস। সেই ১৩ বছরের বালককে ১ কোটি ৩০ লক্ষ্য টাকা দিয়ে কিনল রাজস্তান র্যালস।
'মাস্টারমাইন্ড' হয়ে উঠেছেন ডিসি বা দিল্লি ক্যাপিটালসের সহ-মালিক কিরণকুমার গ্র্যান্ডি
প্রসঙ্গত, এই বয়সেই সে খেলেছে ভারতের অনূর্ধ্ব–১৯ টেস্ট দলে। গত মাসে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে করেছে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি, যুব টেস্টের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় দ্রুততম এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড। ওপেনার হিসেবে অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় টিমের হয়ে দুটি যুব টেস্টেও খেলা হয়ে গিয়েছিল তার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে একটি যুব টেস্টে ৬২ বলে ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসও খেলেছে বৈভব। বাঁ–হাতি ওপেনারের সেঞ্চুরি এসেছিল মাত্র ৫৮ বলে।
উলেখ্য, ২০১১ সালে জন্ম বৈভবের। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট প্রেম। আর তা দেখে বৈভবের বাবা বাড়ির পেছনে খেলার জায়গা করে দিয়েছিলেন বৈভবকে। মাত্র ৯ বছর বয়সে সমস্তিপুরের এক ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয় বৈভব। মাত্র আড়াই বছর সেখানে ক্রিকেট শিখেই অনূর্ধ্ব ১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির ট্রায়ালে যোগ দিয়েছিল বৈভব। মাত্র ১২ বছর বয়সেই বিহারের হয়ে বিনু মানকড় ট্রফি খেলে ফেলে বৈভব। মাত্র ৫ ম্যাচে করেছিল প্রায় ৪০০ রান। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩–২৪ মরশুমে রনজি এলিট গ্রুপ বি বিভাগে বিহারের হয়ে অভিষেক হয় বৈভবের। আর গত সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইউথ টেস্টে শতরান করে সকলের নজর কাড়ে সে।
গত ১ অক্টোবর বেসরকারি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিরুদ্ধে ৫৮ বলে শতরান করে আলোচনায় উঠে আসে ১৩ বছরের বৈভব। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে এটাই দ্রুততম শতরান। ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও চারটি ছয়। স্ট্রাইক রেট ১৬৭.৭৪।