পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে বিজেপি কমজরি। আরজি কর আন্দোলনের ঝাঁঝ সামলে ফের ঘাসফুল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সুকান্তকে 'পার্টটাইম সভাপতি' আখ্যা দিয়ে তাঁর মত, জনগণ মনে করছে যে মমতা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, পরিস্থিতি না পাল্টালে রাজ্যে বিজেপির কোনও আশা নেই, মমতা চিরকাল পশ্চিমবঙ্গ শাসন করবেন।'
যশস্বীকে বলা হচ্ছে ‘ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ’
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া একটি পোস্টে তথাগত রায় লিখেছেন- "পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হল একটি বিপর্যস্ত দল। তারা রাজ্যের দ্বিতীয় দল হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। তবে সেটা দলের সংগঠনের কারণে নয়। বরং হিন্দু জনগণের একটি অংশের অন্ধ সমর্থনের কারণে"। এছারাও তিনি আরও লিখলেন- 'অভিষেকের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত মামলার মুখে নিষ্ক্রিয়তার জন্যে জনগণ মনে করছে যে মমতা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। মমতা এমন একটি আখ্যান তৈরি করেছেন যে বিজেপি হল একটি হিন্দিভাষী বাঙালি বিরোধী দল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র ১৭ মাস বাকি।'
উল্লেখ্য, গতকাল প্রকাশিত হয় সিতাই, মাদারিহাট, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া এবং নৈহাটি উপনির্বাচনের ফলাফল। এই আসনেও বিজেপির ফলাফল ভালো হয়নি। সিতাই এবং হাড়োয়াতে তৃণমূল জিতেছে লক্ষাধিক ভোটে। এছারাও মাদারিহাট আসনটি তৃণমূল ২৮,১৬৮ ভোটে জিতেছে। কোচবিহারে সিতাই কেন্দ্রে তৃণমূল ১,৩০,৬৩৬ ভোটে জিতেছে। মেদিনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল জয় পেয়েছে ৩৩,৯৩৬ ভোটে। হাড়োয়া কেন্দ্রে তৃণমূল জয় পেয়েছে ১,৩১,৩৮৮ ভোটে। সব মিলিয়ে তৃণমূল ৭৬.৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তালড্যাংরা কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ে পেয়েছে ৩৪,০৮২ ভোটে। এই আসনে তৃণমূল পেয়েছে ৫২.০৭ শতাংশ। আর নৈহাটি কেন্দ্রে তৃণমূল জয় পেয়েছে ৪৯,২৭৭টি ভোটে। সেই আসনে তাদের প্রাপ্ত ভোট হল ৬২.৯৭ শতাংশ।