বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আজ মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে। পড়শি রাজ্যে ইতিমধ্যেই একদফা ভোট হয়ে গিয়েছে, আজ দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ ৩৮ আসনে। অন্যদিকে ২৮৮ আসনে এক দফাতেই ভোট হচ্ছ মহারাষ্ট্রে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে শনিবার। কেরল, উত্তরাখণ্ড এবং পঞ্জাবের আরও ৬ আসনের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। মহারাষ্ট্রের ‘লড়কি বহিন প্রকল্পে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে দেড় হাজার টাকার খয়রাতি ছিলই। তার সঙ্গে ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে থেকে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’-এর স্লোগান তুলে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে এককাট্টা করার চেষ্টা। বিশেষত ওবিসি ভোটব্যাঙ্ককে অটুটরাখার কৌশল নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।
কলা থেকে কিভাবে ক্যান্সার হতে পারে?
উলেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১২.৭১ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬.৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকলকে ভোটদানে উৎসাহিত করে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, আজ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সমস্ত আসনে ভোটগ্রহণ হবে। রাজ্যের ভোটদাতাদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি আপনারা উৎসাহের সঙ্গে নির্বাচনের অংশ উঠুন এবং গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হন। তরুণ ও মহিলা ভোটদাতাদের কাছে আর্জি, আপনারা উদ্দীপনার সঙ্গে ভোট দিন। নির্বাচনের দিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক সংকট এবং আপনি যে দৈনন্দিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তার বিরুদ্ধে ভোট দিন। সংবিধান আপনাকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার দিয়েছে। আপনাদের ভোট দিয়ে দৈনন্দিন সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে এমন একটি সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে যা শুধুমাত্র আপনার জন্য কাজ করে।’
প্রসঙঙ্গত, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস তথা বিরোধী জোট মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভা ভোটেও কংগ্রেস, শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরের মহাবিকাশ আঘাড়ী বিজেপির মহায্যুতি জোটকে টেক্কা দেবে। বিজেপি নেতারা মানছেন, ‘লড়কি বহিন’ প্রকল্পে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে গত পাঁচ মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা গিয়েছে। কিন্তু শুধু মহিলা ভোটে ভরসা না করে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের কৌশলও নিয়েছে বিজেপি। উল্টো দিকে হেমন্ত সোরেনও ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ধাঁচে তাঁর ‘মাইয়া সম্মান যোজনা’-য় মহিলাদের মাসে এক হাজার টাকা অনুদানকে হাতিয়ার করেছেন। তার মোকাবিলায় বিজেপি ‘গোগো-দিদি’ যোজনা চালু করে মাসে ২১০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছবাছ। বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছেন ঝাড়খণ্ডের তরুণ তুর্কি জয়রাম ‘টাইগার’ মাহাতো। কুড়মি মাহাতো সম্প্রদায়ের নেতা জয়রাম ঝাড়খণ্ডের পরিচিতিসত্তার রাজনীতিকে হাতিয়ার করছেন। রাজ্যের জনসংখ্যার ২২ শতাংশ কুড়মি মাহাতো, আদিবাসীদের পরে সবথেকে বড় অংশ এটি। অন্তত ৩৫টি আসনে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেন কুড়মি মাহাতোরা। কংগ্রেস নেতাদের মতে, জয়রাম মাহাতো সরকার-বিরোধী ভোটে ভাগ বসালে জেএমএম-কংগ্রেস জোটেরইলাভ হবে।