বিশ্বজোড়া খ্যাতি AR রহমানের। তিন দশক পূরণ করতে আর একটা বছর বাকি ছিল। তার আগেই ২৯ বছর পর ভাঙল রহমান-বানু জুটি। গত ১৯ নভেম্বর বিবৃতি দিয়ে আলাদা হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন রহমানের ২৯ বছরের জীবনসঙ্গী সায়রা বানু। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করলেন শিল্পী। তার স্ত্রী সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, জীবনের বহু কঠিন সময় পার করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পুস্পা ম্যায় ঝুকেগা নেহি শালা’
১৯৯৫ সালে ১২ মার্চ সায়রা বানুকে বিয়ে করেছিলেন AR রহমান। তাঁদের তিন সন্তান। খতিজা, রহিমা এবং আমিন। সায়রা বানু জানিয়েছেন, ২৯ বছর তাঁরা সংসার জীবন করেছেন। বিয়ের এতগুলি বছর কাটানোর পর, এআর রহমানের থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যথা আর যন্ত্রণা থেকেই সম্পর্কে ঘূণ ধরেছে এবং এসেছে মানসিক চাপ। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে তিনি এই কঠিন সময়ে সকলের কাছে, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি গোপনীয়তা বজার রাখার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। এ আর রহমান X হ্যন্ডেলে লেখেন ‘আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সব কিছুরই একটা শেষ আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন তবুও আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলি আর তাদের জায়গা খুঁজে পাবে না। আমাদের বন্ধুদের বলছি, যখন আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা যে উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।’
উলেখ্য, বরাবরই অস্কারজয়ী সুরকার AR রহমান। দেশের শীর্ষস্থানীয় সুরকারদের সঙ্গে তার নামও উচ্চারিত হয়। আজও দেশের নামী শিল্পীরা তাঁর সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় থাকেন। তার কনসার্ট মানে অন্য এক দিগন্ত। দেশ-বিদেশে তাঁর অনুষ্ঠান লেগেই আছে। শিল্পীর বিচ্ছেদের কথা শুনে অনুরাগীরা সত্যিই অবাক। গুজরাতি পরিবারের অভিনেতা রাশিন রহমানের শ্যালিকা সায়রাকে অবশ্য ভারী পছন্দ হয়েছিল রহমানের পরিবারের। শোনা যায়, সায়রার জীবনে-যাপনে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ছাপ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। তাই রহমানের বিয়ে পুরোটাই ঠিক করেছিলেন শিল্পীর বাবা-মা।