বাংলাদেশের সরকার মুহাম্মদ ইউনুস সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাক্তণ হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা লিসা কার্টিস, যিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দক্ষিণ এশিয়ার বিষয়ক হিসেবে কাজ করেছিলেন, তাঁর বক্তব্যে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক চিন্তা রয়েছে, বিশেষ করে যখন এই অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন রকমে এগিয়ে যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার বাইডেন সরকার এবং ট্রাম্পের মধ্যে গুরুতর মতভেদের বিষয়টি আগেও সামনে এসেছে। লিসা কার্টিস বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে বলেন, “আমরা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা সংস্কারের প্রচেষ্টা অনেকেই আশাবাদী করে তুলেছে। মানুষ আশা করছে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।” ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা কার্টিস বলেন, “বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার ইতিহাস আছে। ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে হামলা ভয়ঙ্কর ঘটনা। এ দেশে আইএস প্রভাবিত কিছু শক্তি রয়েছে। হাসিনা জঙ্গি শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় কাজ করেছিলেন।"
উলেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের কাজকর্ম নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্রাসেলসের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। তাতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। তাদের উচ্ছেদের পরে ইউনূস সরকারের উপরে দেশের মানুষের অগাধ প্রত্যাশার চাপ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং মৌলবাদ ও চরমপন্থার উত্থান বিষয়ে লিসা কার্টিসের মন্তব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই জরুরি। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শান্তির জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।