চলতি বছরের ৩০শে ডিসেম্বর নতুন চমক আনতে চলেছে ইসরো

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বছরের শেষে নতুন নতুন চমক নিয়ে হাজির ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজ়েশন’)। রাইফেল থেকে ছোড়া বুলেটের ১০ গুণ গতিতে ঘুরতে ঘুরতে ঘটবে মিলন! না কোন স্বপ্ন নয়। তাই আরও একবার মহাকাশে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে ইসরো। 

প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর আগামী ৩০শে ডিসেম্বর যখন সারা বিশ্ব নতুন বছরকে আমন্ত্রন জানাতে তৈরি সেই সময় কঠিন পরীক্ষায় নামবে ইসরো। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মাণ দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহকে জুড়ে একটি মহাকাশযান তৈরি করবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইসরো এই অপারেশনটির নাম দিয়েছে স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট মিশন’ (SpaDEX)। এই মিশনের মাধ্যমে ভারত ডকিং প্রযুক্তিতে বিশ্বের চতুর্থ দেশ বলে অভিহিত হবে। বর্তমানে কেবলমাত্র আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কাছে রয়েছে এই প্রযুক্তি। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই বিষয়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থাটি। ৩০ ডিসেম্বরের মিশনে সফল হলে চতুর্থ দেশ হিসাবে এই ক্লাবে যোগ দেবে ভারত।


ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বরে দু’টি বিশেষ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়ে যাবে ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (পিএসএলভি) নামের রকেট। উপগ্রহগুলির প্রতিটির ওজন ২২০ কেজি। মহাশূন্যে সেগুলিকে ‘ডকিং’ এবং ‘আনডকিং’ করবেন এ দেশের মহাকাশ গবেষকেরা। মহাশূন্যে তীব্র গতিতে ঘূর্ণায়মান দু’টি বস্তুকে কাছাকাছি এনে জুড়ে দেওয়াকেই বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘ডকিং’। সেই কাজটাই করতে চলেছে ইসরো। পরীক্ষা সফল হলে ফের ওই দুই উপগ্রহকে আলাদা করা হবে। যাকে ‘আনডকিং’ বলে চিহ্নিত করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এছারাও ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবীর ৪৭০ কিলোমিটার উপরে চলবে এই পরীক্ষা। এর জন্য বিশেষ একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থা। এর নাম ‘ভারতীয় ডকিং সিস্টেম’। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই কাজে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল ডকিং সিস্টেম স্ট্যান্ডার্ড’ (আইডিএসএস)। ভারতীয় প্রযুক্তিটি সমমানের বলে দাবি করেছে বেঙ্গালুরুর গবেষণা সংস্থা।

টুর্নামেন্ট থেকে নাম সরিয়ে নিলেন দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেন!

ইতিমধ্যে, মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে, পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৮০০ কিলোমিটার বেগে ঘুরবে মহাকাশযানগুলি। অর্থাৎ, যাত্রিবাহী বিমানের চেয়ে ৩৬ গুণ বেশি থাকবে তাদের গতিবেগ। ওই অবস্থাতেই তাদের ডকিং এবং আনডকিংয়ের পরীক্ষা চালানো হবে।আর সঙ্গে সঙ্গেই উপগ্রহের আপেক্ষিক বেগ ০.০৩৬ কিমি/ঘণ্টায় নেমে আসবে।দু’টি উপগ্রহের মিলনের সময়ে তাদের গতিবেগ দাঁড়াবে সেকেন্ডে ১০ মিলিমিটার। এই দুই নভযানের নাম ‘চেজ়ার’ এবং ‘টার্গেট’ রেখেছে ইসরো। 

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

বিদ্যুৎ
Related News