কিডনি আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আমাদের শরীরে দুটি কিডনি থাকে। এটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দেয়। প্রস্রাবের মাধ্যমেই বেরিয়ে যায় এই দূষিত উপাদান। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষার কাজটিও করে এই অঙ্গ। উলেখ্য, হটাৎ যদি কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তবে আমাদের শরীরে ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিন জমা হতে শুরু করে। কিডনি শরীরে অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তবে আজকাল খাওয়া-দাওয়ার ভুল অভ্যাস, ব্যস্ত জীবনযাপন, দূষিত জল এবং দূষণের কারণে কিডনি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ডাক্তার ডায়ালিসিস করার পরামর্শ দেন।
৫টি ভুল অভ্যাস যা কিডনির ক্ষতি করে চলুন জেনে আসি-
১. কম জল খাওয়াঃ কিডনি সঠিকভাবে রক্ত ছেঁকে ফেলতে পারে না, কারণ রক্তের বেশিরভাগ অংশে জল থাকে। কম জল পান করলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে এবং কিডনিতে পাথরের সমস্যা হয়। তাই কিডনিকে সঠিক রাখতে বেশি করে জল পান করা দরকার।
Sony Bravia 55 inch স্মার্ট টিভিতে থাকছে দুর্দান্ত অফার
২. খাবারে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া: অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে প্রস্রাবে প্রোটিন বের হতে শুরু করে। ফলে কিডনির নানা রোগ দেখা দেয়। তাই খাবারে কম মিষ্টি ব্যবহার করুন।
৩. ধূমপান: ধূমপানের কারণে কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন কমে যায় এবং এথেরোস্ক্লেরোসিস রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও ধূমপানের ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া: ঘুমের অভাবে কিডনির সঠিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়, কারণ এতে বিপাকক্রিয়া প্রভাবিত হয়।
৫. অতিরিক্ত নুন খাওয়া: বেশি নুন খেলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং কিডনিকে প্রভাবিত করে। দিনে মাত্র ৫ গ্রাম নুন খাওয়া উচিত। নুন কম খেলে কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কিডনির সমস্যার জন্য তিনটি চমৎকার উপয়ায়ঃ
১. ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে: সমপরিমাণে নিম এবং পিপুলের ছাল গুঁড়ো করে রাখুন। এক চামুচ করে গুঁড়ো ৪০০ মি.লি. জলতে ফুটিয়ে ১০০ মি.লি. জল বাকি থাকলে ছেঁকে নিন। প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় খালি পেটে এটি পান করলে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের বৃদ্ধি কমে যায়।
২. কিডনির যে কোনও সমস্যার সমাধান: ভুট্টার উপর থাকা চুল যাকে মকাইয়ের চুল ৫০ গ্রাম নিয়ে ২ লিটার জলতে ফুটিয়ে নিন। এক লিটার জলে এটি সারা দিন অল্প অল্প করে খান। এটি কিডনির যে কোনও সমস্যার সমাধান করবে।
৩. কিডনির কোষ পুনরুজ্জীবিত করা: পুনর্নবা, যাকে সটৌড়ি বা চমৎকার সবজি বলা হয়, এটি কিডনির মৃত কোষগুলোকে পুনর্জীবন দেয়। এটি সবজি হিসেবে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে যে কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।