বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই মনমোহন সিংকে ভর্তি করা হয় দিল্লির হাসপাতালে। জানা গেছে, তাঁকে সরাসরি দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশের অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।
ইন্ডিয়া জোট থেকে কংগ্রেসকে বাদ দিতে চায় কেজরিওয়াল
একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং আমলা, যিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনিইপ্রথম শিখ ধর্মাবলম্বী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারতের যোজনা কমিশনের সহ অধ্যক্ষ এবং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বর্তমানে চতুর্থ বারের জন্য আসাম থেকে একজন রাজ্যসভা সদস্য হিসাবেও মনোনীত হন। ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর অপ্রত্যাশিত ভাবেই শ্রী সিং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স জোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত হন। ২২ মে ২০০৪ সালে তিনি প্রথম মনমোহন সিং মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পর পর ২ বার প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ২০০৯ সালের ২২ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম। এই গাহে এলাকা যা আজকের পাকিস্তানে রয়েছে। তাঁর পরিবার ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতে চলে আসে। মনমোহন সিং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক। ন্যুফিল্ড মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে তিনি ১৯৬২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে ডক্টরেট উপাধিধারীডিগ্রী অর্জন করেন। তাঁর সম্মানার্থে সেন্ট জোনস বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নামে, "ডক্টর মনমোহন সিং স্কলারশিপ" এই নামে একটি পিএইচডি ছাত্রবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করে।
উলেখ্য, সেই দিন তাঁর হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়েই দ্রুত হাসপাতালে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাও। তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়ে এক্স হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।