অবসশেষে সংসদে বিল পেশ করা হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’। বিরোধী দলের প্রবল আপত্তির মধ্যে আজ মঙ্গলবার দুটি বিল লোকসভায় পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, আরও আলোচনার জন্য সরকার বিল দুটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠাতে আগ্রহী। বিল দুটি জেপিসিতে পাঠানোর প্রস্তাব আইনমন্ত্রীকে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
চ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নাম নথিভুক্ত করার সময় বাড়িয়েছে শিক্ষা দপ্তর
উলেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি-র দাবি, এখন প্রতিবছরই কোনো না কোনো রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। একেক সময়ে একেক রাজ্যের নির্বাচন করতে প্রচুর খরচ হয়। নির্বাচন হলে তার আগে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যায়। তখন কোনো উন্নয়নমূলক কাজের ঘোষণা করা যায় না। একসঙ্গে পুরো দেশে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা ভোট করলে খরচ অনেকটাই বাঁচবে। প্রতিবছর নির্বাচনের কাজে সরকারি দপ্তর ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যস্ত থাকতে হবে না।
প্রসঙ্গত, বিল দুটি পাস হলেও ২০৩৪ সালের আগে দেশের সর্বত্র লোকসভার সঙ্গে বিধানসভার ভোট এবং সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করানো যাবে না। নতুন সরকারের মেয়াদ হবে ওই দিন থেকে পাঁচ বছর। পরবর্তী লোকসভার ভোট ২০২৯ সালের এপ্রিল–মে–জুন মাস নাগাদ হওয়ার কথা আছে। সেই ভোটের পর লোকসভার প্রথম অধিবেশন যেদিন বসবে, সেদিন থেকে পাঁচ বছর হবে ওই সরকারের মেয়াদ। ওই পাঁচ বছরের প্রস্তুতি শেষে একযোগে ভোট নেওয়া হবে। সেই হিসাবে এই বিল কার্যকর হবে ২০৩৪ সাল থেকে। সেই ভোটের ১০০ দিনের মধ্যে পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় প্রশাসনের ভোট করাতে হবে।