রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা হল বাণীপুর মেলা। নতুন বছরের শুরুতেই আনন্দে মেতে উঠতে চলেছে হাবড়ার বাণীপুর উঃ ২৪ পরগণা অঞ্চল। ৬৯তম, "বানীপুর লোক উৎসব", আগামী বছরে ৩ জানুয়ারি থেকে হাবড়ার বানীপুর জনতা কলেজের মাঠে শুরু হতে চলেছে এবং চলবে ১১ জানুয়ারি, শনিবার পর্যন্ত। বানীপুর লোকউৎসব মেলা পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা এবং উঃ ২৪ পরগনার সব থেকে বড় উৎসব।
অগ্রহায়ণের ইতু পূজো জেনে নিন কিছু নিয়মাবলী
প্রসঙ্গত, জেলা ও রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে দূর দূরান্ত পর্যন্ত এই মেলার নাম ছড়িয়ে পড়ছে। অসংখ্য মানুষ আসে এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে । রয়েছে মুল মঞ্চ সহ একাধিক লোক উৎসবের স্টেজ। সেই মঞ্চ গুলিতে প্রতিদিনই রয়েছে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নাটক গান কবিতা সহ একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হাজার হাজার ষ্টল থাকে এই মেলায় যেখানে পাওয়া যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মায়েদের হাতের তৈরী নানারকম পোশাক,গহনা,ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে পিঠে পুলি পর্যন্ত । এছাড়াও বিভিন্ন রকম খাবার ও মাটির পুতুল, টেরেকোটা ইত্যাদির দোকান থাকে। প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা থাকে মেলায়। শীতের আমেজ গায়ে মেখে আনন্দ উপভোগ করতে প্রচুর মানুষ পৌঁছে যান হাবড়ার এই বানীপুর লোকউৎসব মেলা প্রাঙ্গণে। শিল্পী সঞ্জয় সরকারের হাত ধরে সেজে উঠছে রং তুলির টানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
জানা গিয়েছে, ১৯৫৬ সালের ২৮ মার্চ লোক উৎসব শুরু হয়৷ ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় হয়েছিল। বিশেষ কারণে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত উৎসব বন্ধ ছিল৷ ১৯৮৬ সাল থেকে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ফের শুরু হয়। উৎসবে আসা কিছু লোকশিল্পী জানান, এখানে তাঁরা লোকসংস্কৃতির শিকড়ের টান খুঁজে পান। তাই প্রতি বছর আসেন। হাবড়াবাসী উৎসবকে নিয়ে গর্ব করেন। তাঁদের কাছে এটি বার্ষিক পার্বণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।