নেপোলিয়ানের দেশে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজয়ের পর পদত্যাগ করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ক্ষমতাসীন সরকারকে সরাতে সম্মতি দিল ফ্রান্স পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। তিনি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের জয়ের পর বিটকয়েনের মুল্য তুঙ্গে
উলেখ্য, আইনসভার অতি-ডানপন্থী এবং বামপন্থী সদস্যরা গত বুধবার ঐতিহাসিক অনাস্থা ভোটে অংশ নেন ৷ তারপর প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, যা ১৯৬২ সালের পর প্রথম ফ্রান্সে দেখা গেল। বুধবার ৫৭৭ সদস্যের নিম্নকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়। ৩৩১ জন সদস্যই বার্নিয়ের সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে, মিশেল বার্নিয়ের ওপর বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ক্ষোভের কারণ বিতর্কিত বাজেট বিল পাস করতে অস্বাভাবিক ক্ষমতার প্রয়োগ। গত সোমবার তথা ২রা ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা খাটিয়ে পরবর্তী সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট পাস করেছিলেন তিনি। বাজেটের লক্ষ্য ছিল, ৬ হাজার কোটি ইউরো কর বাড়িয়ে এবং ব্যয় কমিয়ে ফ্রান্সের বাড়তে থাকা সরকারি ঘাটতি কমানো। জানাগিয়েছে, গত নভেম্বরে পরিচালিত এক জরিপে ৬৭ শতাংশ মানুষ এই বাজেটের বিরোধিতা করেন। তবে মিশেল বার্নিয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে পার্লামেন্টে এমপিদের ভোট ছাড়াই পাস করিয়ে নিয়েছেন বিলটি। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। এবার দেশটির প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল র্যালি, এনআর ও বামপন্থি দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ই ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাসন দিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুযেল ম্যাক্রোঁ।