পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে নয়, বরং ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত। ভারতের মিডিয়া গুলোই শুধু বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছে। বিশ্বের অন্য কোন মিডিয়ায় তেমন প্রভাব ফেলছে না। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি সব কথা বলেছিলেন।
পাকিস্তানিদের জন্য বাংলাদেশের দরজা খুলছেন ইউনুস
প্রসঙ্গত, সীমান্তে কোনও উত্তেজনা না থাকলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে ধারাবাহিক অপপ্রচার চলছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ সেনার ওই প্রাক্তন কর্তা। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমস্ত ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব।’’ প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের প্রস্তাব, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক।”
উলেখ্য, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় ভারতে সরব হয়েছেন অনেকেই। এই আবহে এবার বাংলাদেশ ভেঙে বাঙালি হিন্দুদের জন্যে এক পৃথক 'হিন্দুদেশ' তৈরির 'ফর্মুলা' দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন প্রাক্তন সেনা কর্তা জেনারেল জিডি বক্সি।বাংলাদেশের উত্তর অংশকে সেখানে একটি পৃথক দেশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তার নাম - 'হিন্দুদেশ'। মূলত রংপুর, দিনাজপুর এলাকা নিয়ে সেই 'পৃথক দেশ' গঠনের ফর্মুলা দিয়েছেন অবরপ্রাপ্ত এই মেজর জেনারেল। জিডি বক্সি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উগ্র জিহাদিবাদে পরিণত হয়েছে। তারা গণহত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশি হিন্দু সংখ্যালঘুদের তাড়িয়ে দিতে চায়। তারা মনে হয় লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে আছে। ১৯৭১ সালে ৩৮০০ জনেরও বেশি ভারতীয় সৈন্য, নাবিক এবং বায়ুসেনার যোদ্ধারা এই দেশকে ঘাতক পাকবাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে তাঁদের জীবন দিয়েছিলেন। কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে কেউ। যদি তারা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার অব্যাহত রাখে তবে এটি একটি সম্ভাব্য সমাধান।' এরপরই বাংলাদেশ ভাগের সেই ছবিটি আপলোড করা হয়েছে।