অনশন তুললেও আন্দোলনের পথ ছাড়বেন না
টানা ১৭ দিন অনশন চলার পর শেষ পর্যন্ত নমনীয় হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ তবে রাজ্য সরকার অথবা মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তাঁরা অনশন তুলছেন বলে মানতে চাননি জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
তিলোত্তমার মা-বাবার অনুরোধেই এই অনশন তুলে নিয়েছেন তাঁরা। তবে এরপরও থেকে গিয়েছে ‘কিন্তু’। কারণ অনশন তুললেও আন্দোলনের পথ তাঁরা ছাড়বেন না। ডাক দিলেন আরও এক কর্মসূচির।
এ দিন, নবান্ন থেকে ফিরে এসে প্রায় এক ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চলা বৈঠকে খুব একটা যে তাঁরা খুশি হননি সে কথা পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার। বলেন, “এই বৈঠকে প্রশাসনের শরীরী ভাষা পজিটিভ লাগেনি। কারণ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যাজ পরে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানে আমাদের প্রিন্সিপালদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন। প্রশাসনের শরীরী ভাষা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।”
তবে আন্দোলন থামছে না বলেও জানালেন চিকিৎসকরা। দেবশিস বলেন, “আগামী শনিবার আরজি করে মহা গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।”
এদিকে থ্রেট কালচার সহ বিভিন্ন বেনিয়মে অভিযুক্ত আরজি কর হাসপাতালের ৫১ জন চিকিৎসকের বহিষ্কার নিয়ে গতকালই নবান্নের বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ৫১ জন চিকিৎসককে বহিষ্কারের ওই নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ চিকিৎসকদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারই নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷
জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, আপাতত ন্যায়বিচারের দাবিতে আগামী শনিবার আরজি কর হাসপাতালেই গণকনভেশনের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ সেই গণকনভেনশনে সাধারণ মানুষকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী যে যে প্রতিশ্রুতি জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়েছেন, সেগুলি পূরণ হল কি না, তার দিকেও নজর রাখবেন আন্দোলনকারীরা৷