আন্দোলন ছেড়ে পুজো-উৎসবে ফেরার বার্তা মমতার
আর জি কর আবহে পুজো বয়কটের ডাক। কোথাও কোথাও সরকারি অনুদান বয়কটের প্রবণতা। আর জি কর বিক্ষোভ যে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকেও প্রভাবিত করতে পারে, সেটাও অনুমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেকারণেই জনতার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন। একমাস একদিন হয়ে গেল। রোজ রোজ রাস্তায় নামলে অনেক মানুষের অসুবিধা হয়।” একই সঙ্গে সিবিআইয়ের কাছে তাঁর অনুরোধ, বিভ্রান্ত না করে মূল মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করুক তারা। মূল মামলার তদন্তের গতি বাড়িয়ে দ্রুত অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।
'পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন। রাস্তা আটকালে সবার অসুবিধা হয়। মাইক বাজালে বয়স্কদের অসুবিধা হয়।' কথা বলতে চাইলে জানানো হোক, আন্দোলনকারীদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি, তাঁর হুঁশিয়ারি 'কারও বিরুদ্ধে কেস দিইনি বলে সেটাকে দুর্বলতা ভাববেন না।'
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করলেন, একটা অংশ চাইছে পুজোর অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে। তাতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। মমতা দাবি করেন, “পুজো একটা অর্থনীতি। বাংলায় একটা উৎসব আসছে। এই উৎসবের সময় গরিব মানুষ করে খায়। ঢাকি থেকে ধামসা-মাদল, ছোট দোকান থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী সবার রুজিরুটি নির্ভর করে পুজোর উপর।” মমতার সাফ বার্তা, “দুর্গাপুজো আমাদের সেরা উৎসব। এই উৎসবে যেন কোনও ভুলভ্রান্তি, ষড়যন্ত্র, কুৎসা, অপপ্রচার, চক্রান্ত না হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, পুজো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেই দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে। তিনি এদিন বলেন, কোন ক্লাব কী থিম করছে, সেটা পুলিশকে নজর রাখতে হবে। এমন কিছু আমরা করবা না যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে পুজোর সময় অনেক বিদেশি অতিথি আসে, সারা দেশ থেকে অনেক মানুষ আসেন। তাদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়।
এদিন নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " যদি কেউ নিতে না চান, ঠিক আছে। নতুন যে আবেদন এসেছে তাদের দিয়ে দেবেন। নতুন অনেক আবেদন আমাদের কাছে এসে পড়ে রয়েছে। সবাইকে হয়তো একসঙ্গে দিতে পারব না। কারণ, টাকাটা বেড়ে অনেকখানি হয়ে গিয়েছে।" ওয়াকিবহাল মহল করছে সরকার কোনও রকম ভাবেই মচকাচ্ছে না। বরং কৌশলে আন্দোলনকারীদের উপর রাজ্য সরকার চাপ তৈরির চেষ্টা করছে৷ সোমবার পুজো উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতিতে নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো উদ্যোক্তাদের কাছেও বার্তা পাঠালেন তিনি।