অন্নপূর্ণার শিখরে বঙ্গকন্যা পিয়ালী, ঝুলিতে নয়া রেকর্ড

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বাঙালির শৃঙ্গজয়ের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করলেন চন্দননগরের পিয়ালী। অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালী বসাক। সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে পৃথিবীর দশম উচ্চতম (৮০৯১ মিটার) ও দূর্গম শৃঙ্গে আহরণ করেন চন্দননগরের পাহাড় কন্যা পিয়ালী।

গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে বেরিয়ে ছিলেন চন্দননগরের এভারেস্ট জয়ী পর্বত আরোহী পিয়ালী বসাক। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা সামিট করেন তিনি।

এর আগেও বঙ্গকন্যা পিয়ালী বসাককে নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছিল। আসলে এই মেয়ে বাঙালি তথা সারা ভারতবর্ষের গর্ব। গত বছর অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই ছুঁয়েছিলেন এভারেস্টের শিখর। মাথায় ছিল ঋণের বোঝা। ছোট থেকেই মনে পাহাড়ের নেশা রীতিমত পেয়ে বসেছিল। বাবার হাত ধরে একসময় ছোট্ট পিয়ালী বায়না করতেন। পাহাড়ে চড়ার জন্য বুট আর দড়ি কিনে দেওয়ার আবদার করতেন। চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালী অক্সিজেন ছাড়াই জয় করেছিলেন এভারেস্টের শিখর, এবার রেকর্ড করলেন অন্নপূর্ণার শিখরে পৌঁছে।


উল্লেখ্য, গত বছর ১১ জুন এভারেস্ট জয় করে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। গত বছর ২২ মে এভারেস্ট জয় করেছিলেন 'পাহাড় কন্যা' পিয়ালী বসাক। তার দু'দিন পরই আবার লোৎসে জয় করেন তিনি। শৃঙ্গ জয় করার পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁকে চন্দননগরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছন চন্দননগরের পিয়ালী। যদিও তাঁর এই যাত্রাপথ একেবারেই সফল ছিল না। একাধিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে।

বঙ্গকন্যা পিয়ালী বসাকের জীবন ছোট থেকে কেটেছে অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। শুধুমাত্র আর্থিক সমস্যার কারণে, জীবনের পদে পদে ঠোক্কর খেতে হয়েছে। ছোটবেলায় যখন বইতে কিংবা স্কুলে পাহাড়ের গল্প শুনতেন তখন মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন পাহাড়ে চড়ার। পরবর্তীকালে তিনি পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে বেছে নিয়েছেন, কিন্তু নিজের স্বপ্নকে ভোলেননি। পাহাড়ে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে হয়েছে। আসলে ছোট থেকেই পাহাড়ের প্রতি পিয়ালীর এক অদ্ভুত টান ছিল। যখনই কোথাও পাহাড় সম্পর্কিত প্রদর্শনই হত সেখানে ছুটে চলে যেতেন। মাত্র আড়াই থেকে তিন বছর বয়সেই তিনি পাহাড়ে ওঠার জন্য বায়না করতেন। বাবা অনেক বোঝালেও কিছুতেই তিনি শুনতে চাননি। মাত্র ছয় বছর বয়সেই ট্রেকিং শুরু করেন। এক কথায় বলতে গেলে পিয়ালী বসাক ভারতের গর্ব। ২০০০ সালে যখন তিনি অমরনাথ অভিযানে গিয়েছিলেন তখন একদম কাছ থেকে দেখেছিলেন জঙ্গি হামলা। কেদারনাথের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে প্রায় ১০০ জন তীর্থযাত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News