ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে মোচা ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরে গতকাল থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছিল মোচা। গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তি সংঞ্চয় করে ধীরে ধীরে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। ৭ অথবা ৮ তারিখের মধ্যে মোচার ল্যান্ডফল হতে পারে বলেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস।
যদিও তা ঘটেনি। দেরিতেই বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করেছে মোচা। আর তাই আতঙ্কে প্রমাদ গুণছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ। তবে এখনও কোন পথে মোচার ল্যান্ডফল হবে তা স্পষ্ট নয়। আইএমডির পক্ষ থেকে প্রথমে ওড়িশা উপকূলের কথা বলা হলেও পরে আবার বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে তেমন ভাবে মোচার প্রবাব পড়বে না। বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোলে সুন্দরবনে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোলে পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু মোচা শক্তি বাড়ালেও গত কয়েকদিনে ঘূর্ণিঝড়ের আগমন বার্তা হিসেবে ঝড়বৃষ্টি তেমন কিছুই ঘটেনি রাজ্যে।
উল্টে পারা চড়ছে। আবারও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাবে বলে সতর্ক করেছ আবহাওয়া দফতর। আগামী বহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যাবে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
পশ্চিমাঞ্চলের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে। অর্থাৎ ফের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দামানে শুরু হয়ে গিয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। মোখার প্রভাব সর্বপ্রথম আন্দামান নিকোবরেই পড়বে বলে সতর্ক করেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ থেকে সেই ঝড়-বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তাই আগে থেকেই সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে আগে থেকেই সতর্ক রাজ্য সরকার। আম্ফানের তাণ্ডব থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেই সুন্দরবনের বাঁধগুলির রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শহরে বহুতলগুলিতে জেনারেটর প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই যাতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার না হতে হয় তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে নবান্ন।