অর্শ এক জটিল রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রচুর সমস্যা দেখা দেয়। মানুষ পায়খানা করতেও চান না এই রোগের কারণে। কারণ পায়খানার সময় রক্তপাত (Bleeding) হতে দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। ফলে মূল সমস্যা দেখা যায়। তাই প্রতিটি পাইলস থাকা মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আসলে এখন বহু রোগী এই সমস্যায় ভোগেন। এবার এই রোগ থাকলে মলদ্বারের ভিতরে কিছু রক্তনালী ফুলে যায়। এবার কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) হলে, এই ফুলে যাওয়া রক্তনালী থেকে রক্ত বের হয়। তখন পায়খানার পর রক্তপাত হয়ে থাকে।
পাইলসের অনেক পর্যায় রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনটি গ্রেডে এই রোগকে ভাগ করা যায়। দেখা গিয়েছে ফার্স্ট গ্রেড পাইলসের ক্ষেত্রে ডায়েটে কিছুটা পরিবর্তন করেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
মলদ্বারে ব্যথা বা মলত্যাগের সময়ে রক্ত পড়তে শুরু করলেই চিকিত্সকের কাছে যাওয়া দরকার। রোজের খাবারের তালিকায় কী রাখলে রেহাই পাবেন, রইল হদিস।
১) দ্রবণীয় ফাইবারে সমৃদ্ধ ফল ও শাকসব্জি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এগুলি নিয়মিত খেলে অর্শরোগীদের কষ্ট অনেকটাই কমতে পারে। ফাইবার পেটের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ডায়েটে পর্যাপ্ত মাত্রায় ফাইবার থাকছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আলুবোখরা, নাসপাতি, আপেল, বার্লি, মিষ্টি আলু রোজের খাবারে বেশি করে রাখুন।
২) পাইলসের সমস্যা থাকলে দিনে কমপক্ষে ৩ লিটার জল পান করতেও হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে আগেই সচেতন হতে হবে। এবং জল পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৩) গোটা শস্য থেকে তৈরি বিভিন্ন খাদ্য খেতে পারেন। ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল খেতে পারেন।
৪) আপনি ডায়েট থেকে কোন খাবার বাদ দিলেন, এর চেয়েও জরুরি আপনার রোজকার পাতে যেন ফল, শাক-সবজি থাকে। এগুলো প্রাকৃতিক পুষ্টি সম্পন্ন হয়। এতে মলত্যাগে সমস্যা দেখা দেয় না এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
৫) বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, কড়াইশুঁটি ও রাজমার মতো খাদ্য অর্শ রোগীদের জন্য আদর্শ।