বর্তমানে ডায়াবেটিস একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।একটা বয়সের পর বহু মানুষের ই ডায়াবেটিস এর সমস্যা চলে আসে ।প্রতি বাড়িতেই কেউ না কেউ ডায়াবেটিস এ ভোগেন ।একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিস এর সঙ্গে লড়াই করছেন ।প্রতিবছর এই রোগে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ।
ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের হয় । টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু ।এই দুই ধরন ই হতে পারে খুব ভয়ংকর ।ডায়াবেটিস এর ভুক্তভোগী রা বোঝেন কতটা যন্ত্রণাদায়ক এই সমস্যা ।শরীরে শর্করার মাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় ,নাহলে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
আর ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই ডাক্তারেরা হাজার হাজার ওষুধ খেতে বলেন ।তবে শুধু ওষুধ না ঘরোয়া কিছু খাবারেই শরীরের শর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণে ।যেমন -
* খাবারের রুটিন এ বদল আনতে হবে ।চিনি ,মিষ্টি কিংবা ময়দা জাতীয় কোনো খাবার খাওয়া যাবেনা । গ্লুটেন রয়েছে এমন খাবার ও খাওয়া উচিত নয় ।শাকসবজি ও ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে ।
* ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইনসুলিনের ডোজ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ নেওয়া উচিত।
* প্রতিদিন কিছুটা সময় শরীরচর্চা করতে হবে ।বেশি সময় না পাওয়া গেলেও কিংবা ব্যয়াম না করতে পারলে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটা চলা করতে হব কিংবা সাইকেল চালাতে হবে ।
* রাতে খাওয়া দাওয়ার পর ই ঘুমোনো উচিৎ না ।এতে ডায়াবেটিস প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় ।খাওয়ার এক ঘন্টা পর ঘুমোনো উচিৎ ।সেই সময়ে হাটাহাটি করা যেতে পারে।রাত আটটা র মধ্যেই ডিনার সেরে ফেলা উচিত ।
* প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে একটা গোটা করলা সিদ্ধ খেতে পারলে লাভ আছে। এছাড়াও করোলার জুস বানিয়ে খান। এতেও কিন্তু উপকার পাবেন। রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলার ভূমিকা অনেকটাই।
* আম পাতা ডায়াবিটিসের চিকিৎসাতে কিন্তু ভীষণ ভাবে কার্যকরী। অনেকের কাছেই এটি অজানা। কচি আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান। সকাল আর সন্ধ্যায় দু গ্লাস করে খেতে পারলে কিন্তু উপকার পাবেন।
* রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল জল। এই সময়ে, আপনি যদি জল পান করেন তবে এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। কিডনি জলের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন এবং ইনসুলিন দূর করতে কাজ করে।তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।।