হাড় ও দাঁত ঠিকমতো যাতে বেড়ে ওঠে সেজন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। ছোট থেকেই দেহের অধিকাংশ ক্যালসিয়ামই হাড়ে সঞ্চিত হয়। এ কারণে প্রতিদিনের ডায়েটে এমন খাবার রাখতে হয় যা থেকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ঠিকমতো ক্যালসিয়াম দেহে না এলে ভবিষ্যতে হাড়ের ক্ষয়ের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
ছোটবেলা এবং বয়স সন্ধিক্ষণের শুরুতে অর্থাত্ বেড়ে ওঠার সময় হাড়ের গঠনের জন্য় ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি হয়। যত বয়স বাড়ে ক্যালসিয়াম সঞ্চয়ের ক্ষমতা তত কমতে থাকে। ছোটবেলায় এই ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ কারণে সেই সময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখতেই হয়।
দুধ ক্যালসিয়ামের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য এবং নির্ভরযোগ্য উত্স। কিন্তু অনেক শিশুই দুধ খেতে চায় না। অনেকের আবার দুধ ও দুধজাতীয় খাবারে অ্য়ালার্জি থাকে। সেই কারণে বাধ্য হয়েই এড়িয়ে যেতে হয় দুধ। এমন হলে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পেতে অন্য খাবারে ভরসা করতে হয়। যেমন-
সামুদ্রিক মাছ
চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। যা দুধের মতোই যত্ন নেয় হাড়ের। শরীরের পেশি শক্তিশালী করে তোলে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া এই ধরনের মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরের অন্দরে আরও অনেক রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করে। বাচ্চাকে সামুদ্রিক কোনও মাছ খাওয়াতে পারেন।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামও ক্যালশিয়ামে ভরপুর একটি খাবার। এক কাপ কাঠবাদামে ২৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। পাশাপাশি, কাঠবাদামে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান। খুব ভাল হয়, যদি রোজ সকালে বাচ্চাকে একটি করে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়াতে পারেন।
সাদা বিনস্
সাদা বিনস্ ক্যালশিয়ামের একটি ভাল উৎস। ক্যালশিয়াম ছাড়াও এতে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট, আয়রন ও পটাশিয়াম। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাদা বিনস্ বেশ কার্যকরী বলেই মত পুষ্টিবিদদের।
ব্রকলি
ব্রকলি ক্যালশিয়ামে ভরপুর। এই ধরনের সব্জির বিশেষত্ব হল, এখান থেকে প্রাপ্ত ক্যালশিয়াম খুব সহজেই দেহে শোষিত হতে পারে। পাশাপাশি, ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন এবং পটাশিয়াম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। শীত পড়েছে। এখন সহজেই বাজারে মিলবে ব্রকলি। এই সব্জি দিয়ে সুস্বাদু কোনও রান্না করে দিতে পারেন বাচ্চাকে।