Flash news
    No Flash News Today..!!
Thursday, March 28, 2024

পরীক্ষার দু’মাসের মাথায় প্রকাশিত ২০২২ প্রাথমিক টেটের ফল

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রকাশিত হল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে হওয়া টেট (TET) পরীক্ষার ফল। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ফল প্রকাশ করেন। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের ইনা সিংহ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাঁচজন। পাঁচজনই মেয়ে। প্রথম দশে ১৭৭ জন রয়েছেন। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ফল প্রকাশিত হয়। গত ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। প্রায় ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা হয়। এ বারের টেটে পরীক্ষা দেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। এই প্রথম এত কম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশিত হল। ফলে ফলপ্রকাশে স্বচ্ছতা বজায় যাতে থাকে, সে দিকে জোর দিয়েছে পর্ষদ। বৃহস্পতিবার টেটের চূড়ান্ত উত্তরপত্র (আনসার কি) প্রকাশ করেছে পর্ষদ। এর পরই ফল প্রকাশ। এ দিন দুপুরে টেটের ফল প্রকাশ করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানান, রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার জন। পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। শতাংশের নিরিখে ২৪.৩১ শতাংশ। ৬৯ হাজার ৪০৮ জন মহিলা পাশ করেছেন। পুরুষ পরীক্ষার্থী পাশ করেছেন ৮১ হাজার ৭৭ জন। উল্লেখ্য, পর্ষদ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এবারের টেট পরীক্ষায় স্বচ্ছতার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না। পরীক্ষার সময়ই পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের একটি প্রতিলিপি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক উত্তর সংকেত। সেই উত্তর সংকেত দেখে পর্ষদের দেওয়া উত্তরগুলিকে চ্যালেঞ্জ করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষার্থীরা যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, সেগুলি খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত উত্তর সংকেত অর্থাৎ ফাইনাল আনসার কি প্রকাশ করে পর্ষদ। তাতে কয়েকটি ভুল স্বীকারও করে নিয়েছে পর্ষদ। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, প্রথম দশের তালিকায় রয়েছেন ১৭৭ জন। এঁদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিংহ। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৫০-এর মধ্যে ১৩৩। দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন মৌনিষা কুণ্ডু (হুগলি), মেঘনা চক্রবর্তী (পশ্চিম মেদিনীপুর), দীপিকা রায় (পশ্চিম মেদিনীপুর) এবং অদিতি মজুমদার (পূর্ব বর্ধমান)। তাঁদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১৩২। তৃতীয় স্থানে আছেন মেহদি হাসান (উত্তর ২৪ পরগনা), বিকাশ ভক্ত (পূর্ব মেদিনীপুর), মনামী অধিকারী (পশ্চিম মেদিনীপুর) এবং প্রহ্লাদ মণ্ডল (বাঁকুড়া)। তাঁরা প্রত্যেকেই পেয়েছেন ১৩১ নম্বর। ছাপার ভুল বা অনুবাদের ভুল থাকার কারণে চারটি প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই অভিযোগও মেনে নিয়েছে পর্ষদ। এবং জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভুল হোক বা ঠিক। ওই চারটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীরা পেয়ে যাবেন চার নম্বর। মোট কথা, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ করার বিশেষ সুযোগ এবার দিল না পর্ষদ।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News