জালিয়াতির নিশানায় সুতির গোঠা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক বেনিয়ম, দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেনের ছবি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে গোঠা বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে নিয়োগের অনুমোদন দেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস। ওই মেমোতেই নিজের ছেলের নাম নিয়োগপত্রে জালিয়াতি করে ঢুকিয়ে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে অনিমেষ তিওয়ারি চাকরি পান। কীভাবে জাল নিয়োগপত্র তৈরি হল, এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে শিক্ষা দফতরকে। একজন ভুয়ো শিক্ষক, কোন বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দিনের পর দিন বেতন পেলেন। এমনকী অনলাইনে বেতন হলেও কীভাবে একই মেমো নম্বরে দু'জন শিক্ষকের বেতন হল৷ তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী দলকে। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তৎকালীন বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস। একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই দুর্নীতির তদন্ত করছে। এই অবস্থায় ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডের তদন্তে এবার মুর্শিদাবাদের সুতির স্কুলে হানা দিল সিআইডি। গত ১৯শে জানুয়ারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামে সুতি থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। এফআইআর করা হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর ছেলের নামে। গত ২১শে জানুয়ারি এই দুর্নীতির তদন্তে বহরমপুরে ডিআই অফিসে এসেছিলেন এসএস সিআইডি, স্পেশাল ক্রাইম অনীশ সরকার। সেদিনই জিজ্ঞাসাদ করা হয় বর্তমান ডিআই ও প্রাক্তন ডিআই ও স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিকেও। সুতি ব্লকের গোঠা হাইস্কুলের শিক্ষক দুর্নীতিতে তদন্তকারীরা শিক্ষা ভবনে এসে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর শীলের সঙ্গে কথা বলেন।সংবাদমাধ্যমকে অমরবাবু জানিয়েছেন, সিআইডি টিম এসেছিল এবং সুতির গোঠা হাই স্কুলের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সোমবার দুর্নীতির তদন্তে সুতির গোঠা এ আর হাইস্কুলে গিয়েছিল সিআইডি দল। মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুরে ডিআই অফিসে আসে চার সদস্যের সিআইডি দল। বাবা আশিস তিওয়ারি মুর্শিদাবাদের সুতি থানার গোথা এ আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নকল নিয়োগপত্র নিয়ে সেই স্কুলেই এতদিন শিক্ষকের চাকরি করছিলেন তাঁর ছেলে অনিমেষ। তারা বর্তমান ডিআই মাধ্যমিক আমর কুমার শীলের সাথে কথা বলেন আধিকারিকরা । সুতির গোঠা এ আর হাইস্কুলের প্রধান আশীষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ডকুমেন্ট জালিয়াতি করে ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে নিজের স্কুলেই শিক্ষকতার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই বিষয়ে শুনানির দিন হিসেবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সওয়াল করেন ঘটনার মামলাকারী সোমা রায়ের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আদালতে তার বক্তব্য, "এই ঘটনার দায় থেকে অর্থ দফতর হাত তুলে নিতে পারে না। একই নিয়োগপত্রে ২ চাকরি কীভাবে সম্ভব! কেন তা খতিয়ে দেখা হয়নি?"

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News