১৯৭৪ সালে সাত সদস্য মিলে তৈরি হয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। এই স্বাধীন ব্যান্ডের শুরুতে নাম ছিল সপ্তর্ষি। এই ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায়, তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস দাস, এব্রাহাম মজুমদার, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন নিত্যনতুন গান দর্শকদের উপহার দিতো মহীনের ঘোড়াগুলি।
তবে ইতিমধ্যে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাপস দাস ( বাপি )। মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বর্তমানে ফুসফুসের ক্যানসার শেষ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাপস দাসকে বাঁচাতে ত্রাণ তহবিল খুললেন তাঁরই সঙ্গী - সাথীরা। অর্থসাহায্যের জন্য অনুরোধ করলেন সাহানা বাজপেয়ী, অর্ক মুখোপাধ্যায় ও রূপম ইসলাম।
' ভালোবাসি জ্যোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে ', ' তাকে যত তাড়াই দূরে ' এইসব গানে আজও মাতোহারা বাঙালি। সেই গানের সুরকেই হারাতে চাননা কেউ। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি চলছে বাপি দাসের। রেডিয়েশন নেওয়ার মতো শারীরিক ক্ষমতা নেই তাঁর। বর্তমানে তাঁর ওজন এসে দাড়িয়েছে ৩৫ কিলো।
হাসপাতালের বিল, ওষুধ, ইত্যাদির খরচ তুলতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপেপ মাধ্যমে সাহায্য করার জন্য সকল মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে। তাঁদের অনুরোধ , ' জীবিত কিংবদন্তি তাপস বাপি দাস আজ অসুস্থ। আপনারা সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন '।
অর্ক মুখোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন , " যাদের গান ' সুদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে সবকিছুই ' তাদেরই বাপিদা আজ অসুস্থ। মহীনের ঘোড়াগুলির এই তাপস দাস কে , তার পরিচয় আমি করিয়ে দেব এত বড় কেউ আমি নই। লাং ক্যান্সার থার্ড স্টেজ, খেতে পারছেন না স্বাভাবিক পদ্ধতিতে। বেশ কিছু কেমো নিয়েছেন। এখন রেডিয়েশন নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। ওজন কমে পয়ত্রিশ কিলোয় নেমে এসেছে। এখুনি কথা হয়েছে ওনার স্ত্রী সুতপা দির সাথে। ওনার থেকেই শুনেছি। এই অবস্থাতেও বাপিদা কোনোমতে ফোন হাতে নিয়ে আমার সাথে কথাও বলেছেন। ধন্যবাদ জানাই নীলাঞ্জন ও কৌস্তভকে আমায় জানানোর জন্য "।
তিনি আরো জানান , " আমরা বন্ধুরা একটি অনলাইন ফান্ডরেইজার অর্গানাইস করব দ্রুতই এক সপ্তাহের মধ্যে। বাজে ভনিতা করে আর পলিটিকাল/অ্যাপলিটিকাল কুৎসিত ট্রোলবাজি না করে যদি পারেন আমার আপনার সামান্য ছোট ছোট কান্ট্রিবিউশন পাঠাতে শুরু করুন। খরচ অনেক। ঐ যে গানটা আপনাকে রাতে দিনে ভাবিয়েছে, তারও মূল্য অনেক। সে কথা ভেবে এগিয়ে আসুন। অন্য কে কী করেছে, না করেছে তার জন্য না ভেবে। যদি সত্যিই কোনও দিন ভেবে থাকেন ' কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও ', তবে মনে রাখবেন একটু একটু করে হলেও এই মানুষটিকে বাঁচানোর দায় আমাদেরও আছে "।