আরও ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

বুধবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন ১৪০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল এবং তাঁদের বেতন বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন। অর্থাৎ মোট ১৯৩ জনের চাকরি বাতিল করা হল। বৃহস্পতিবার ৫৯ জনের হলফনামা জমা পড়বে। এদিন মামলাকারীদের সব হলফনামা দেখার পর উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে, সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই একটি মেসেজে সাদৃশ্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গত বছর ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বেতন বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু, ওই শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সময় এই মামলা হাইকোর্টকে শোনার জন্য বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, প্রত্যেককে যোগ্য হিসেবে চাকরি পাওয়ার প্রমাণ দিতে হবে। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৬৮ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাও হয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। ২৩ ডিসেম্বরের শুনানিতে বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন ১৪৬ জন শিক্ষকের আবেদনের শুনানি হয়। তাঁদের নথি খতিয়ে দেখেই ১৪০ জনের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন বাকি প্রার্থীদের নথি পুনরায় যাচাই করে তাঁদের চাকরি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, এদিন আরও ৫৯ জন প্রাথমিকের শিক্ষক তাঁদের চাকরি বাঁচাতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতে। আগামী বৃহস্পতিবার এই সকল প্রার্থীদের আবেদন খতিয়ে দেখবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। সেখানেই দুই জন অরুণ কারাক এবং প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আবারও স্কুলে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা। একইসঙ্গে বেতনের উপরও নিষেধাজ্ঞা রইল না। আইন মোতাবেক তাঁরা বেতনও পাবেন। আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট এখনই চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে বলে হাইকোর্টকে এই শিক্ষকদের আবেদন শুনতে৷ সেখানেই শিক্ষকরা আবেদন করেন, তাঁদের হলফনামা দাখিল করতেও বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News