বড় সাফল্য অসম সরকারের, ২০২২-এ শিকার হয়নি একটিও গণ্ডার

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

২০২২ সালে অসমের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে একটা গন্ডারও চোরাশিকারীদের হাতে মারা পড়েনি। পুলিশ ও বন দফতরের টানা নজরদারির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। 

অসম সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি গণ্ডারের শিকার হয়েছিল ২০১৩ ও ২০১৪ সালে। বছরে কমপক্ষে ২৭টি গণ্ডারের হত্যা করেছিল পাচারকারীরা। ২০১৬ সালে ১৮টি গণ্ডারের শিকার করে চোরাচালানকারীরা।

এটা অসম সরকারের বড় সাফল্য। গণ্ডার শিকার ও চোরাচালান রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলই এবার মিলল।

অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে একটিও একশৃঙ্গ গণ্ডার মারা পড়েনি। মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও বনবিভাগের কর্মীদের কড়া নজরদারিতে এই সাফল্য এসেছে। একই সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেও অসম এই লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর তালিকায় একশৃঙ্গ গণ্ডারকে অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই সরকারের তরফে গণ্ডার সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশে একশৃঙ্গ গণ্ডারের দেখা মেলে শুধু অসমেই । কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই পাচারকারী ও চোরাচালানকারীদের উপদ্রবে। বিনা অনুমতিতে জঙ্গলে প্রবেশ করে গণ্ডারদের হত্যা করে কোটি কোটি টাকা কামায় পাচারকারীরা। লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয় গণ্ডারের শিং। গণ্ডারের শিকার ও চোরাচালান রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলই এবার মিলল। অসম সরকারের তরফে জানানো হল, ২০২২ সালে একটিও একশৃঙ্গ গণ্ডার মারা পড়েনি। 

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, বিগত ২০ বছর বাদে এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ২০-২৫ বছর বাদে অসমে গোটা বছরে একটিও গণ্ডার শিকার হল না। শেষবার অসমে গণ্ডারের শিকার হয়েছিল ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর গোলাঘাট জেলার হিলাকুণ্ডায়। এদিন একই সঙ্গে গণ্ডারের শৃঙ্গ ব্যবহার করে নানা ওষুধ তৈরি করার তত্ত্ব উড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওষুধ প্রস্তুতিতে গণ্ডারের শৃঙ্গ ব্যবহার করার ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। গণ্ডারের শৃঙ্গের কোনও বিশেষ ঔষধিগুণ নেই। সেই বার্তা দিতে নজিরবিহীন ভাবে ২০২১ সালে উদ্ধার হওয়া ২৪৯৭টি গণ্ডারের শৃঙ্গ জনসমক্ষে পুড়িয়ে দেওয়াও হয়েছিল। এদিন সে কথাও ফের মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালের জুন মাসে অসম সরকারের তরফে ২২ সদস্যের একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয় পুলিশের স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেলের নেতৃত্বে। চোরাশিকারীদের রুখতে জঙ্গলগুলিতে সশস্ত্র কম্যান্ডো বাহিনীও মোতায়েন করা হয়। গোলাঘাট, নাগাঁও, কারবি অ্যাংলং, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, দারাং, মোরিগাঁও, বাকসা, চিরাং, বরপেচা ও মাজুলি সহ মোট ১১টি জেলা, যেখানে সাধারণ ও একশৃঙ্গ গণ্ডারের বসবাস, সেখানের বন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও পুলিশ সুপারদেরও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য করা হয়।

উল্লেখ্য, অসমের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে বর্তমানে ২৬১৩টি গণ্ডারের বসবাস। বিগত কয়েক বছর ধরে গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ছে এই জাতীয় উদ্যানে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News