মুকুট পেলেন না দিভিতা রাই , মিস ইউনিভার্স ২০২২ এর মুকুট উঠল মার্কিন সুন্দরীর মাথায়। মিস ইউনিভার্স ২০২২-এর মুকুট জিতে নিলেন আর'বনি গ্যাব্রিয়েল । তাঁকে মুকুট পরালেন ২০২১ সালের ভারতীয় সুন্দরী হরনাজ সিন্ধু। গতবার তিনিই জিতেছিলেন এই খেতাব।
গোটা বিশ্ব থেকে ৮৪ জন প্রতিযোগীদের মধ্যে এই খেতাব জিতে নিলেন মিস ইউএসএ আর'বনি গ্যাব্রিয়েল।এ বছর ৭১তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সের নিউ অরলিন্স মরিয়াল কনভেনশন সেন্টারে।মিস ভেনিজুয়েলা আমান্ডা দুদামেল ও মিস ডোমিনিকাল রিপাবলিক আন্দ্রেনা মার্টিনেজ প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে। এই বিউটি পেজেন্টে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন কর্নাটকের সুন্দরী দিভিতা রাই। ম্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা। জাতীয় পোশাকের রাউন্ডে সোনার পাখি সেজে নজর কেড়েছিলেন। ভারতের সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মের রূপক ছিল ওই পোশাক। তবে সেরার সেরা হয়ে ওঠার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। তিনি টপ ১৬ -এ ওঠার পর প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান।
উল্লেখ্য ,মিস ইউনিভার্স ২০২২ আর'বনি গ্যাব্রিয়েল আমেরিকার হিউস্টন, টেক্সাসের বাসিন্দা। জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে হলেও গ্যাব্রিয়েলের বাবা ফিলিপাইন্স এর নাগরিক এবং মা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
তাঁর বায়ো অনুযায়ী, তিনি হুলা হুপ ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যে ব্যাগপত্র গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। অবসর সময়ে বই পড়েন।
সংবাদমাধ্যম সূত্র থেকে জানা গিয়েছে , ২০১৮ সালে নর্থ টেক্সাসের ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর নিউ ইয়র্ক সিটির জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার নিকোল মিলারের কাছে ইন্টার্নশিপ করেছেন।তাঁর নিজের একটি পোশাক তৈরির সংস্থাও রয়েছে।২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মিস USA নির্বাচিত হন তিনি।
প্রসঙ্গত ,গ্যাব্রিয়েলকে মিস ইউনিভার্স জেতার পথ আরও মসৃণ করে দেয় তাঁর দেওয়া উত্তর। চূড়ান্ত পর্বে তাঁকে বিচারকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে যদি তিনি মিস ইউনিভার্স-এর খেতাব জেতেন তবে তা কীভাবে একটি ক্ষমতায়ণ ও প্রগতিশীল সংস্থা হিসাবে কাজ করবে। গ্যাব্রিয়েল এর উত্তর খুবই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দিয়ে বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘আমি একজন সমাজ পরিবর্তনের কান্ডারি হতে চাই। ১৩ বছর ধরে আমি সেলাই-শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। দূষণ কমাতে আমি নিজের কাজে পুনর্ব্যবহৃত উপকরণকে ব্যবহার করি। মানব পাচার এবং গার্হস্থ্য হিংসার স্বীকার যে মহিলারা, তাঁরা যদি আমার কাছে আসতে পারেন সেই মহিলাদের আমি সেলাইয়ের ক্লাস দিই। কারণ আমি বিশ্বাস করি অন্যের উপর, একটা সম্প্রদায়ের উপর বিনিয়োগ করলে তবে বদল আসবে। আমাদের সবার মধ্যে কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে। আর যখন সেটাকেই ছড়িয়ে দিই, তখনই পরিবর্তন আসে।’