ভারতীয়দের কটাস রাজ মন্দিরে যাওয়ার অনুমতি দিল পাকিস্তান

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

 ' কটাস ' কথার অর্থ হলো চোখের জল। কথিত আছে ,মহাদেব সতী এর দেহত্যাগ এর পর নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন।আর সেই চোখের জলে দুটি জলাশয় তৈরি হয়েছে।যার একটি হলো রাজস্থান এর পুষ্কর ।আরেকটি হলো পাকিস্তান এর কটাক্ষ কুণ্ড। এই কটাক্ষ কুণ্ড কে ঘিরেই রয়েছে বহু প্রাচীন এক শিব মন্দির, যার নাম কটাস রাজ মন্দির।

পাকিস্তান এর চাকওয়াল জেলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই শিব মন্দির।ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হলো সিন্ধু সভ্যতা।শুধু ভারতের বলা ভুল হবে,পাকিস্তান এর ও সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হলো সিন্ধু সভ্যতা।উত্তর পূর্ব আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান ও উত্তর পশ্চিম ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই সভ্যতা।পাকিস্তান এ হরপ্পা সভ্যতার কিছু ও মহেঞ্জোদারো সভ্যতার বহু প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যায়।
আর এই পাকিস্তান এই রয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শিব মন্দির টি।ভক্তরা মনে করেন,মন্দির টি প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে তৈরি।মহাভারতের সময় এটি নির্মিত হয়।এখানে মহাদেব ও সতী থাকতেন। সতীর দেহত্যাগ এর পর থেকে আজ ও মহাদেব এখানে ডুকরে ডুকরে কাঁদেন।এই কটাক্ষ কুণ্ডের অগভীর জলের রং সবুজ আর গভীর জলের রং নীল।তাই ভক্তরা মনে করেন,মহাদেবের চোখের জল দিয়েই এই জলাশয় গঠিত।

আবার বলা হয়,পঞ্চপাণ্ডব ও দ্রৌপদী নাকি ১২ বছর নির্বাসনের সময় এই মন্দিরে থাকতেন।জঙ্গলে হাঁটার সময় তাদের জল পিপাসা পায়, তৃষ্ণা মেটাতে সহদেব এই জলাশয় এর কাছে এসে উপস্থিত হন ।জলাশয় পাহারা দিচ্ছিলেন বকরুপী ধর্ম।তিনি জল পানের জন্য সহদেব কে শর্ত দেন যে ,তিনি কিছু প্রশ্ন করবেন যদি সহদেব তার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন ,তবেই তিনি জল পান করতে পারবেন ।কিন্তু সহদেব বলেন যে তিনি উত্তর দিতে পারবেন না। ধর্মের রোষ এ তিনি মারা যান।এভাবে আরো তিন পাণ্ডব মারা যান।শেষে যুধিষ্ঠির আসেন আর সব সঠিক উত্তর দিয়ে ধর্ম কে সন্তুষ্ট করেন এবং বাকি পাণ্ডব দের প্রাণ ফিরে পান ও জল পান করেন।

তবে ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে ,মন্দির টি হাজার বছর আগে নির্মিত।এখনো মন্দিরের ভেতরে প্রাচীন হাভেলির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। মোট সাত টি মন্দির রয়েছে এখানে।সব মিলিয়ে এদের সাতগ্রহ ও বলা হয়।
তাই বলার অপেক্ষা রাখেনা,এই মন্দির হিন্দুদের কাছে কতটা পবিত্র। শিখ রাও এই মন্দিরে যেতে চায়।তবে,১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান এই মন্দির টি বন্ধ করে দেয়।কিন্তু বর্তমানে এই মন্দিরের দ্বার আবার খোলা হয়েছে তীর্থযাত্রীদের জন্য।সম্প্রতি ৯৬ জন ভারতীয় হিন্দু ও শিখদের পাকিস্তান এর এই মন্দিরে যাওয়ার ভিসা মঞ্জুর করেছে পাকিস্তান।২০ থেকে ২৫ এ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দিরে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা।দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে নভেম্বর এ ১০০ জন শিখ তীর্থযাত্রী কে সিন্ধু প্রদেশের শাদানি দরবার হায়াতে সন্ত শাদারাম এর ৩১৪ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল ইসলামাবাদ।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Srimita Sasmal