ঠান্ডা পড়তেই একাধিক রকমের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় শরীরে। হঠাত্ করে সর্দি কাশি , হালকা জ্বর, মাথা যন্ত্রণা এমনকি দাঁতের যন্ত্রণা। এইগুলি থেকে আরাম পাওয়ার জন্য অনেকেই দোকান থেকে কিনে আনা ওষুধের উপর ভরসা করেন।
তবে যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য দাঁতের যন্ত্রণা (Toothache) প্রচন্ড বেদনাদায়ক। কোন ঠান্ডা জিনিস খেলে অথবা সামান্য ঠান্ডা হাওয়া লাগলেই দাঁতে ভীষণভাবে যন্ত্রণা শুরু হয় । সব সময় বাজার থেকে কিনে আনা ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপকরণের ওপরেও ভরসা করা উচিত।
ঘরোয়া কিছু সামান্য টোটকা আপনাকে শীতে দাঁতের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে পারে।
১। নুন ও গোলমরিচ- নুন ও গোলমরিচ সম পরিমাণে মিশিয়ে জল দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। দাঁতের উপর এই পেস্ট লাগিয়ে করেক মিনিট রাখুন। দাঁতে ব্যথা কমে গেলেও এটা কয়েক দিন করে গেলে আরাম পাবেন।
২। রসুন- এক কোয়া রসুন থেঁতো করে অল্প নুনের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। খুব বেশি যন্ত্রণা হলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান। যন্ত্রণা কমে যাবে।
৩। লবঙ্গ- দুটো লবঙ্গ থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। আধ গ্লাস জেল লবঙ্গ তেল মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
৪। পেঁয়াজ- পেঁয়াজের অ্যান্টিসেপটিক গুণ যে কোনও ক্ষত, ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। দাঁতে ব্যথা হলে এক টুকরো কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে নিন। যদি বেশি ঝাঁঝ লাগে তবে দাঁতের উপর পেঁয়াজ রাখলেও আরাম পাবেন।
৫। হিং- এক চিমটে হিং বা আধ চা চামচ হিং গুঁড়ো দুই টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। এতে খুব তাড়া়তাড়ি ব্যথা কমে যাবে।
৬। নুন গরম জল- দাঁত, মাড়ি, গলায় ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে নুন গরম জল। এক গ্লাস গরম জলে এক চা চামচ নুন মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে যে কোনও ইনফেকশন সেরে যাবে।
৭। পেয়ারা পাতা- দাঁতে ব্যথা হলে একটা বা দুটো পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। দাঁতের গো়ড়ায় পাতার রস ঢুকে ব্যথায় আরাম পাবেন।
৮। ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট- একটা তুলোয় কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট নিয়ে দাঁতের উপর লাগিয়ে রাখুন। যত ক্ষণ না ব্যথা কমে কয়েক বার এটা করতে থাকুন।
৯। দূর্বার রস- দূর্বার রস দাঁতে ব্যথা কমাতে খুব উপকারী। দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রতি দিন দূর্বার রস খান।
১০। আইস কিউব- তুলোয় মুড়ে এক টুকরো বরফ ব্যথা দাঁত, মাড়িতে কিছু ক্ষণ চেপে ধরুন। এতে ব্যথা কমতে থাকবে।
অনেক সময় এই দাঁতের যন্ত্রণা বহু মানুষকে ভীষণভাবে ভোগায় । সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপকরণে যদি আরাম না মেলে অবশ্যই চিকিত্সকদের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।