Flash News
    No Flash News Today..!!
Monday, November 10, 2025

রাত পোহালেই বড়দিন! আর তার আগেই জেনে নিন সান্তা ক্লজের আসল গল্প

banner

journalist Name : Sohini Chatterjee

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বড়দিন আর সান্তা ক্লজ এ যেন এক অটুট সম্পর্ক। কারণ বড়দিন মানেই ছোটদের মনমতো উপহার নিয়ে হাজির হবে সাদা দাড়ি ওয়ালা এক বৃদ্ধ। যাকে আমরা সান্তা ক্লজ নামে চিনি। আর তাই তো আগের রাত থেকে চলে মোজা ঝুলিয়ে রাখার রীতি। তবে সত্যিই কী সান্তা ক্লজের কোনো অস্তিত্ব আছে? নাকি সবটাই কল্পনা? থাকলেও বা তার বাড়ি কোথায়! এসব নানান প্রশ্ন নিয়ে নানান বিতর্ক থাকলেও এর পেছনে রয়েছে কিছু অজানা গল্প। 
সান্তা ক্লজ আসলে কে? 
সান্তা ক্লজ আসলে মিথ্ নাকি সত্যি তা নিয়ে হাজারো বিতর্ক থাকলেও সান্তা ক্লজের উপস্থিতি অস্বীকার করা যায়না। কারণ চতুর্থ শতকে এশিয়া মাইনরে মায়ারা নামক একটা জায়গা ছিল যা বর্তমানে তুর্কি নামে পরিচিত। সেখানেই বাস করতেন সেন্ট নিকোলাস নামক এক ধর্মযাজক তথা ধনাঢ্য ব্যক্তি। হঠাৎ করেই একদিন নিকোলাসের বাবা মারা যান এবং বাবার সকল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান নিকোলাস। এতো অর্থ দিয়ে তিনি কী করবেন ভেবে না পেয়ে নিকোলাস সিদ্ধান্ত নিলো তিনি তার আশেপাশের এলাকার দুস্থ মানুষদের সহায়তা করবেন। অথচ কাউকে কিছু জানতে দেবেন না। 

সেই মতো মায়ারার এক গরীব ব্যক্তি দারিদ্রতার কারণে তার তিন মেয়ের বিবাহ দিতে পারছিলেন না। সেই কথা জানতে পেরেই নিকোলাস রাতের গভীরে সেই দরিদ্র ব্যক্তির বাড়ির পাশে গিয়ে এক স্বর্ণ ব্যাগ রেখে আসেন। আর তা দিয়েই তার বড়ো মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এভাবেই দ্বিতীয় মেয়ের বিয়ের সময়ও নিকোলাস তাকে গোপনে সাহায্য করতে গিয়েই ধরা পড়েন। আর তার পরেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো নিকোলাসের কথা। নিকোলাসের এতো জনপ্রিয়তাই ছিল তার কাল। কারণ সেসময়ে তুরস্কের সম্রাট ডায়াকলেটিয়া নিকোলাসকে বন্দি করেন এবং আনুমানিক ৩৪৫ বা ৩৫২ সালে তার মৃত্যু হয়।
 
এর পর ক্লিমেন্ট মুর নামক এক লেখক তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ১৮২২ সালে এই নিকোলাস কে নিয়ে কবিতা লেখেন। কবিতাটির নাম ছিল "A visit from St.Nicholas"  যেখানে তিনি নিকোলাসকে সান্তা ক্লজ বলে উল্লেখ করেন। এবং তাকে সাদা দাড়ি ওয়ালা, লাল জামা ও কাঁধে ঝোলা নিয়েই ব্যাখ্যা করেন। আর পরবর্তীকালে সবার মনে সান্তার এই বর্ণনাই গেঁথে যায়। এভাবেই উদ্ভব হয় বাস্তবের সান্তা ক্লজের গল্প।
Related News