সময়ে সেজে উঠেছে গোটা কলকাতা। বাদ পড়েনি নিউটাউনও। উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন আলোকসজ্জায় সজ্জিত নিউটাউনের চারিদিক। অথচ শহরের সেই জায়গায় কিছুদিন ধরে ৭০টি সিসিটিভি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
আলিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়, ইকো স্পেস, সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বন্ধ সিসিটিভি ক্যামেরা। ফলে সেইসব জায়গায় কোনও অপরাধ বা দুর্ঘটনা ঘটলে তা খতিয়ে দেখা সম্ভব নয় পুলিশের। সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শাকিল আহমেদের মৃত্যু নিয়ে রীতিমতো ঘুম উড়ে গেছিলো পুলিশ প্রশাসনের।
ওই ঘটনায় যুক্ত থাকা গাড়িটিকে খুঁজে বার করতে পুলিশকে কাঠখড় পোড়াতে হয়। এরপর আবারও নিউটাউনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসছে। নিউটাউনে বাস করা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য নিউটাউনের তিনটি একশন এরিয়াতে সিসিটিভির ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় হিডকোর তরফে। সেই মতো এখানে ৫৬৫ টি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগায় হিডকো।
এই ক্যামেরাগুলো নাইট ভিশন মোড ছাড়াও গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও ১৮০ ডিগ্রি ঘূর্নায়মান কিছু ক্যামেরাও লাগানো রয়েছে। ২০২১ সালের ৯ ই জুন নিউটাউনের একশন এরিয়া তিন এর সুখবৃষ্টি আবাসনে পুলিশের টাস্কফোর্সের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে বেনামে থাকা পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টারদের মধ্যে গুলির বর্ষণ হয়।
এরপরই নিউটাউনের নিরাপত্তার নিয়ে একাধিক বৈঠক করে হিডকো, এনকেডিএ, পুলিশ ও আবাসন কমিটি। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নিউটাউনের রাস্তায় নতুন করে ৩৭৩ টি ক্যামেরা লাগানো হবে। সমস্ত ক্যামেরার দ্বায়িত্ত্বে থাকবে এনকেডিএ। কিন্তু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় ৭০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ফলে বারংবার প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে।
এনকেডিএ সূত্রের খবর , সম্প্রতি বাগজোলা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজের জন্য গত সপ্তাহে সিসিটিভির অপটিক্যাল ফাইভার ব্রেক হয়। যা বছরের শেষ থেকে নতুন বছর পরার মাঝে মেরামত করা হয়নি। ফলে ওই এলাকার ৭০ টি সিসিটিভি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।