তাহলে জেনে নিন, ড্রাই আইজের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন:
গ্রিন টি-র ব্যবহার:স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের জন্য উপকারী গ্রিন টি (Green Tea)। একাধিক সমস্যা সমাধান হবে এর গুণে। তবে এই গ্রিন টি চোখের জন্যও খুবই উপকারী। ১ কাপ গরম জলে ১টি গ্রিন টি ব্যাগ ডোবান। এই জল ঠান্ডা করুন। এবার তা তুলোয় করে চোখের পাতার ওপর দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে থাকুন। গ্রিন টির গুণে ড্রাই আই-এর সমস্যা সমাধান হবে।
গরম জলের ভাপ: হালকা গরম জলে একটা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো ডুবিয়ে রেখে দিন৷ তার পর কাপড়টা তুলে নিংড়ে নিয়ে চোখের উপর পাঁচ মিনিটের জন্য রাখুন৷ তার পর আঙুলের হালকা চাপে চোখের উপরের ও নিচের পাতায় কাপড়টা মালিশ করুন৷ তাতে চোখের মধ্যেকার সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ কাপড়টা একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এমনটা চালিয়ে যান৷ এতে আপনার চোখের মধ্যেকার জল বা অশ্রুর মান আগের চেয়ে ভালো হবে, তা বেশি আর্দ্রতা জোগাবে৷ লালভাব বা জ্বালাভাবও আগের চেয়ে কমবে নিঃসন্দেহে৷
অ্যালো ভেরা জেল: ড্রাই আইয়ের সমস্যা কমাতে অ্যালো ভেরা জেলের ভূমিকা খুব কার্যকরি৷ এর ময়েশ্চরাইজ়িং ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ লাল ও ফোলাভাব কমাতে পারে৷ একটা পরিষ্কার টিস্যুতে অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে চোখের নিচের পাতায় আলতো হাতে মালিশ করুন, 10 মিনিট পর হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন৷ দিনে দু’বার এটা করতে পারেন৷
শসার ব্যবহার:ডার্ক সার্কেল দূর করতে শসার (Cucumber) গুণের কথা সকলেই জানেন। এবার ড্রাই আই-এর সমস্যা দূর হবে শসার গুণে। শসা গোল করে কেটে নিন। এবার চোখ বন্ধ করে তা চোখের ওপর দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বিশ্রাম করুন। এই শসার গুণে চোখ শুষ্ক বা ড্রাই আইয়ের সমস্যার সমাধান হবে। শসায় ভিটামিন এ থাকে। যা চোখের সমস্যা দূর হবে।
প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়া- রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে জল না খেলেই একাধিক সমস্যা আসে। শরীর হাইড্রেট থাকলে অন্যান্য অনেক সমস্যাই সহজে কাটিয়ে ওঠা যায়। এছাড়াও সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন। যত কম আগুনের কাছে যাবেন ততই ভাল। সরাসরি তাপ এড়িয়ে যেতে পারলে চোখ ভাল থাকবে। আবার ঠান্ডা পরিবেশে বেশির ভাগ সময়েই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
মধুর ব্যবহার:দেড় কাপ গরম জলে ১ চা চামচ মধু (Honey) মিশিয়ে নিন। এই জল ঠান্ডা করে নিন। তুলোয় করে এই জল চোখের ওপর দিন। ৫ মিনিট পর আবার তুলো বদলে নিন। এই মিশ্রণ ড্রাই আই সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী। মধুতে কিছু উপকারী উপাদন থাকে। যা নিয়মিত চোখে দিতে পারেন।