দীর্ঘ দুই বছর ধরে অতিমারির শেয়ারবাজারের উত্থান পতন হয়েছে। তবে শুরুতেই সুদের বৃদ্ধি হয়েছে ভারতে যার জন্য বিভিন্ন বিদেশী সংস্থা গুলি তাদের শেয়ার বেচেছে। তবে এত উন্নতির পরেও গতকাল অর্থাৎ সোমবার ব্যর্থতার মুখে পড়ে শেয়ার বাজার। লগ্নিকারী সংস্থাগুলির দাবি করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট এর জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে বহু জায়গায়। এর মধ্যে আছে নেদারল্যান্ডস এছাড়াও জার্মানি। ব্রিটেন বা আমেরিকাতেও এরকম হতে পারে বলে ধারণা। তবে যে সব জায়গাতে এর আগে কবিরের সেরকম কোনো প্রভাব দেখা যায় নি সেই সমস্ত জায়গাগুলোতেও সংখ্যা বাড়ছে যেমন ডেনমার্ক সুইডেন।
ফলে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মহামারীর থাবা বসলে লগ্নিকারীদের বাজার আরো পড়তে পারে। গতকাল সেন্সেক্স পড়েছে ১১৮৯.৭৩পয়েন্ট। যার ফলে লগ্নিকারীদের ক্ষয় হয়েছে ১১.৪৫ লক্ষ্য কোটি টাকা। বিভিন্ন দেশে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে মূল্যবৃদ্ধি। আমেরিকাতে বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যবৃদ্ধি অধিক হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বিভিন্ন বৈদেশিক ব্যাংক কোনটি মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পরল ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ শেয়ারবাজার থেকে শেয়ার ওইসব দেশে চলে যেতে পারে। তবে সেই আশঙ্কা এখনই সত্যি হবে না বলে ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞ অজিত দে।
তবে এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সাবধান হয়েছে বৈদেশিক লগ্নি কারীরা। এরকম পরিস্থিতিতে তারা ভারতের বাজারে শেয়ার বেচেছে ৫৬৩৫.২৬ কোটি টাকার। তবে বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী হঠাৎ করে সূচক বৃদ্ধি অত্যধিক হারে হচ্ছিল ফলে তার পতন হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। অতিমারির প্রভাব কিছুটা ঠিক হলে বাজারের পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ভারত উন্নয়নশীল দেশ এবং ভারতের আর্থিক ভীত এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট মজবুত এমনটাই জানিয়েছেন ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগারওয়াল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সূচকের উত্থান পতন খুবই স্বাভাবিক।
ফলে করোনার প্রভাব কমে গেলে পুনরায় শেয়ারবাজার আগের মতনই থাকবে। বিনয় আগারওয়াল বলেছেন তৃতীয় মাসে বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্থাগুলির আর্থিক উন্নতি হবে এবং যার ভালো প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়বে। শেষ দু দিনের পর সোমবারই সবথেকে বেশি পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এছাড়া নিফটি পতনও হয়েছে।