গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গত আগস্ট মাসে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে। অন্যদিকে গত নভেম্বর মাসে টানা কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে সন এরেস্ট করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অন্যদিকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। সেই কারণে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ-র আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
পাশপাশি ইডি-র হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই আর্জি ইতিমধ্যেই তদন্তের স্বার্থে খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে শান্ত থাকেনি অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে মামলা করেছেন কপিল সিব্বল। দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “রাউস অ্যাভিনিউয়ের সিদ্ধান্ত মানতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে”। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালতে। তবে শুনানি শেষে রায় দান স্থগিত রাখল আদালত। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে, সেই দিনই রায় দিতে পারে রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালত।
আজ আদালতে কপিল সিব্বল-সহ বাকি আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, যেখানে আর্থিক তছরুপের ঘটনা ঘটেছে সেখানেই এই মামলার শুনানি হওয়া উচিৎ। কিন্তু ইডি তরফের আইনজীবীদের বক্তব্য, “সেই আইন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়”।