#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:
আজকাল অনেকেরই বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করা যায়। তার জন্য দরকার হি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। যেখানে অনেকটা সময় ধরে কাজ করতে হয়। চোখ মানুষের শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অনেকেটা ক্যামেরার মতো কাজ করে এটা। তবে বর্তমান জীবনযাত্রার কারণে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয় চোখে। এর প্রধান কারণ হতে পারে বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয়, ছানি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা।
বর্তমানে চোখের সবচেয়ে বড় শত্রু স্ক্রিন টাইম। সকলের কাছে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি ডিভাইসগুলো জীবনের এক অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটার সাথে তাঁরা সবথেকে বেশি সময় কাটায়। এক নজরে অনেক্ষণ ধরে টিভি দেখায় হোক বা ল্যাপটপ খুলে কাজ করাই হোক। করোনার পর থেকে এর প্রভাববেড়েছে বেশি। সিনেমাহলগুলি বন্ধ থাকায় মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ পেয়ে গেছে সিনেমা দেখার আনন্দ। আবার অতিমারীর সময় লকডাউন হওয়ায় অফিস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শুরু হয় ওয়ার্ক ফ্রম হোম। সেখানেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হয় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ খুলে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এ জন্য ২০-২০-২০ কৌশলটি সুপারিশ করেন। চিকিৎসকেরা বলেন এই কৌশলটি আসলে প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন টাইমের পর নিজের থেকে ২০ ফুট দূরের কোনও বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হবে নিয়ম করে।
এইসব কারণ থেকে চোখকে বাঁচানোর কায়ক্তিন্নিয়ম জেনে নিন -
১. সানগ্লাস ব্যবহার :
পড়াশোনা বা পেশাগত প্রয়োজনে অনেককেই দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে মোবাইল , ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকেন। ব্লু কাট লেন্স পরা যেতে পারে যা চোখকে সুরক্ষিত রাখবে। অতিবেগুনি রশ্মিকে চোখের মধ্যে প্রবেশ করতে বাধা দেয় সানগ্লাস। তবে সানগ্লাস কেনার সময় দেখে নিতে হবে সেগুলি ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মি প্রতিরোধ করতে সক্ষম কি না।
২. স্বাস্থ্যকর ডায়েট :
গাজর দৃষ্টিশক্তির জন্য স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান। এছাড়াও বিভিন্ন ফল, শাকসবজি, জ্যান্ত মাছ বিশেষ করে সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক ইত্যাদি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ঠান্ডা জলের মাছ যেমন স্যামন, লেক ট্রাউট, ম্যাকেরেল, সার্ডিনস চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৩. ব্যায়াম :
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা খুবই প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে এর জন্য জরুরি নিয়মিত ব্যয়ামের মধ্যে থাকা। নিম্ন রক্তচাপ, প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিটি অসুস্থতার হার কমাতে সাহায্য করে।
৪. শীতল ভাপ :
চোখের জন্য ঠান্ডা জলের ঝাপটা খুব উপকারী। এছাড়া রেফ্রিজারেটরে একটি পরিষ্কার কাপড়ের মাস্ক রেখে তা ঠান্ডা করে নেওয়া যেতে পারে। এরপর সেটি চোখে দিলে তা চোখের জন্য যথেষ্ট আরামদায়ক।