#Pravati Sangbad Digital Desk:
লাইভ টেলিভশন সম্পর্কে তো আমরা সবাই পরিচিত, তবে জ্যান্ত টেলিভিশন-হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন জ্যান্ত টেলিভশনের কথা শুনেছেন? হ্যাঁ এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব একমাত্র গোবিন্দার পক্ষে, তাও নব্বইয়ের দশকে। মনে পড়ছে হদ কর দি আপনে ছবির সেই দৃশ্য? যেখানে চিনা থেকে আরবি শেখ, আবার রিমোটের বটন হাত দেওয়া মাত্রই মরাঠি মানুষের অবতারে হাজির গোবিন্দা। এখানেই থেমে থাকেন নি বলিউডের এই কমেডি কিং, চরিত্রে থাকতে থাকতেই নিজের ফটো তোলার কাজটিও সাফল্যের সঙ্গে করে ফেলেছেন!
রোমান্টিক হিরো হওয়ার দৌড়ে যখন তিন খান তখন একেবারে অন্য লুকে অন্য জঁরে পর্দায় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন তিনি। কমেডি ছবির একছত্র 'রাজাবাবু' হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বলিউডে তৈরি করেছিলেন নিজস্ব ডান্সিং স্টাইল। তবে যতটা সহজ মনে হয় তাঁর জার্নি বাস্তবে ঠিক ততটা মসৃণ ছিল না 'হিরো নম্বর ওয়ান' হয়ে ওঠার সেই পথ। তাই শূন্য থেকে শুরু করা অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি। তিনি হলেন সুপারস্টার গোবিন্দা।
ছোটবেলা থেকেই স্ট্রাগল শুরু গোবিন্দার। তাঁর জন্মের আগে থেকেই তাঁর পরিবারে আর্থিক অস্বচ্ছলতা। তাঁর অরুণ আহুজা একটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন, যা বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। বিরারের চৌল থেকে উঠে আসা সুপারস্টার গোবিন্দার জার্নি সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগায়। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছিলেন যে একটা সময় আসে তাঁর জীবনে যখন তাঁর কাছে বাড়ির মুদি সামগ্রী কেনারও টাকা ছিল না। ধারে জর্জরিত গোবিন্দাকে অপমানিত হতে হয়েছিল মুদিখানার মালিকের কাছে। তিনি বলেন,'ঐ দোকানদার আমাকে দীর্ঘক্ষন দাঁড় করিয়ে রাখত কারণ সে জানত আমি পুরো টাকা দিতে পারব না। এরপর আমি আর দোকানে যেতে চাইতাম না। মা সেদিন কেঁদে ফেলেন। মাকে কাঁদতে দেখে আমি নিজেও কেঁদে ফেলেছিলাম।
কুলি নম্বর ওয়ানের অ্যাকশন দৃশ্য গুলিতেও হাস্যরস যোগ করেছেন গোবিন্দা। করিশ্মা কাপুরকে গুন্ডাদের হাত থেকে উদ্ধারের দৃশ্যটি আজও পেটে খিল লাগায়। মলাট দেখে যে কোনও বইয়ের গুণগত মান বিচার করতে নেই তা পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন গোবিন্দা।
সময় আর ইটের সদব্যবহার কিভাবে করতে হয় তা হিরো নম্বর ওয়ান ছবিতে দর্শককে শিখিয়েছেন গোবিন্দা। কোনও দৃশ্যের কথা মনে পড়েছে কি? টাওয়াল জড়িয়ে গাড়িতে ঢুকে অফিস যাওয়ার পথে কিভাবে স্যুট-বুট পড়ে রেডি হতে হয় তা গোবিন্দার থেকে ভালো আর কারুর জানা আছে কি?
গোবিন্দার ছবির কথা হবে আর দুলহে রাজার নাম আসবে না তাও কি সম্ভব! পুলিশ অফিসার আসরানিকে বোকা বানাতে তাঁরই সিনিয়র অফিসারের বেগম সেজে কাকভোরে আসরানির বাড়িতে হাজির হন গোবিন্দা, এই দৃশ্য আজও ভুলতে পারে নি দর্শক।বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৩ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন গোবিন্দা। ১৯৮৬ সালে ইলজাম ছবির সঙ্গে বলিউড সফর শুরু হয়েছিল গোবিন্দার।বক্স অফিসে গোবিন্দার শেষ ছবি ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আ গায়া হিরো। ছবির প্রযোজকও ছিলেন গোবিন্দা।